বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত পূর্বের |
ঝড়-বৃষ্টিতে ধান, ফুল চাষে ক্ষতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বজ্র-বিদ্যু-সহ ব্যপক ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হল পূর্ব মেদিনীপুরের জনজীবন। মঙ্গলবার রাতে অকাল বর্ষণে মাঠে পাকা আমন ধানের পাশাপাশি ফুল ও সব্জি চাষের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এগরায় বাজ পড়ে তিন জন জখম হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে নাড়ুগোপাল গিরি (২২) নামে এগরার কেঁউটগেড়িয়া গ্রামের এক যুবকের। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মলয় হালদার বলেন, “ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।” বুধবার সকালেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। |
|
ধান কেটে মাঠে ফেলে রেখে ক্ষতির মুখে চাষি। এগরায় কৌশিক মিশ্রের ছবি। |
মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ জেলার প্রায় সর্বত্র বজ্রবিদ্যু-সহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। প্রবল ঝড়ের দাপটে বিদুতের খুঁটি ভেঙে, তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। জেলা সদর তমলুক শহর সংলগ্ন ধারিন্দায় ১৩২ কেভি সাব-স্টেশনে যান্ত্রিক গোলযোগের দরুণ এ দিন সন্ধ্যার পর থেকেই তমলুক শহর-সহ লাগোয়া এলাকায় লোডশেডিং হয়ে যায়। রাতে ঝড়-বৃষ্টির জন্য সর্বত্রই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বুধবার দুপুরের পর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের রিজিওনাল ম্যানেজার আশিসনারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তমলুক ও হলদিয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। কাঁথি ও এগরা মহকুমায় পরিস্থিতি তুলনায় ভাল ছিল। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০টিরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর এসেছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
এ দিকে আচমকা ঝড়-বৃষ্টিতে জেলায় চাষবাসে বেশ ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমল নন্দী বলেন, “অনেকে মাঠে পাকা ধান কেটে রেখেছিলেন। তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ধানের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।” অন্য দিকে ঝড়-বৃষ্টির ফলে কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া এলাকায় চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, দোপাটি ফুলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সারা বাংলা ফুল চাষি সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ নায়েক। জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ আধিকারিক স্বপন শিট ফুল চাষের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন। |
|