নাগপুর টেস্টের বিরাট গুরুত্ব। আমি মনে করি না সাম্প্রতিক কালে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে এত গুরুত্বপূর্ণ কোনও ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এবং এটা বলছি মুম্বইয়ে গত বিশ্বকাপ ফাইনাল মাথায় রেখেই।
এর কারণ, বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে গেলেও ভারতীয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তির ক্ষতি হত না। কিন্তু এখানে সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার। শেষ কবে হোম সিরিজে ভারত এতটা মারাত্মক চাপে পড়েছে, আমি অন্তত মনে করতে পারছি না। কিন্তু ভারতকে এই চাপ সামলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। খেলার মাঠে সাফল্যের ব্যাপারে কোনও গ্যারান্টি নেই। এ রকম পরিস্থিতি আসতেই পারে। কিন্তু সবচেয়ে তৃপ্তির হল, এ রকম চাপের সামনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পারফর্ম করা। আর ভারত সেটা করতে পারে।
খেলাধুলোয় সমালোচনা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে ভারতীয় দলের মনে রাখা উচিত, বেশির ভাগ সমালোচকই কিন্তু চাইছে দলটা ভাল খেলুক। কারণ ভারত ভাল করলে সেটা সবার পক্ষেই ভাল। আর আমার মতে সেটা সম্ভব যদি ভারতীয় দল মানসিক ভাবে নিজেদের গোঁ-টা সারাক্ষণ ধরে রাখে। এই দলটার যে রকম দক্ষতা, তাতে অবস্থা না পাল্টানোর কোনও কারণ নেই। ধোনির হাতে দল নির্বাচনের ক্ষমতা হয়তো নেই, কিন্তু ওকে যে দলটা দেওয়া হয়েছে তার পাশে অধিনায়ক হিসেবে ওর দাঁড়ানোটা গোটা দুনিয়ার কাছে খুব ভাল একটা বার্তা। ধোনির প্রতিভা আছে। ওর দরকার সেটাকে পারফরম্যান্সে পরিণত করা। |
আর সচিন তেন্ডুলকরের উচিত চার দিকে ওর অবসর নিয়ে যে সব কথাবার্তা হচ্ছে তা নিয়ে আদৌ না ভাবা। মাথা উঁচু রাখা। আমার মতে, সচিন কবে অবসর নেবে সেটা কেউ ঠিক করে দেবে না। ওর যা রেকর্ড সেটা অন্যরা ভাবতেও পারবে না। সচিন কবে অবসর নেবে সেই সিদ্ধান্তটা ওকেই নিতে দেওয়া উচিত। ওর এখন স্রেফ দরকার ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা। সচিন যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর একটাও রান না করে, তা হলেও ও গ্রেটেস্টই থাকবে।
ভারতীয় দলে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমি আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে আছি, রবীন্দ্র জাডেজা ওর প্রথম টেস্ট ম্যাচ নাগপুরে খেলে কি না দেখতে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট-বল দুটোতেই ও ভাল ফর্মে আছে। চতুর্থ টেস্টে বল যদি টার্ন করে, তা হলে জাডেজা তৃতীয় স্পিনারের ভূমিকা নিতে পারবে। ব্যাটিং অর্ডারে ছ’নম্বরে ও ভাল হবে। ফিল্ডিংয়েও মাঠে কিছু তাজা ভাব আনবে।
নাগপুরে আমি সেই তরুণ ফাস্ট বোলারেরও টেস্ট অভিষেক দেখতে আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে আছি। আমি মনে করি, এই দলের নতুনদের মধ্যে দিন্দার সবার আগে সুযোগ পাওয়া উচিত। কারণ, ও আগে থেকেই স্কোয়াডে আছে। যদিও আমি এ-ও মনে করি, জাহিরকে সিরিজের শেষ টেস্ট পর্যন্ত রাখা উচিত ছিল।
|