টুকরো খবর |
রাজ্যসভা অচল, চেয়ারম্যানকে আক্রমণ মায়ার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পদোন্নতিতে সংরক্ষণ বিল নিয়ে সরকারকে চরমপত্র দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যসভার অচলাবস্থার জন্য সরাসরি সভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিকে আক্রমণ করলেন মায়াবতী।
সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণের জন্য রাজ্যসভায় সংবিধান সংশোধন বিল পেশ হয়েছে। কিন্তু তা পাশ করানোর প্রক্রিয়া রুখতে রোজ সভা অচল করার কৌশল নিয়েছেন সপা সাংসদরা। সেই কারণেই রাজ্যসভায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বসপা নেত্রী মায়াবতী। সভার চেয়ারম্যানকে বলেন, “আপনি রোজ বেলা ১২টা বাজলেই সভা মুলতুবি করে কোথায় যান? কেন সভা চালাতে চেষ্টা করছেন না?” মায়ার আক্রমণে চটে গিয়ে সভা মুলতুবি করে দেন হামিদ আনসারি। সপা-র যে ৯ সাংসদ রোজ গোলমাল পাকাচ্ছেন, তাঁদের সাসপেন্ড করতে একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি হয়েছে। কিন্তু তা পাশ করাতে সরকার সক্রিয় নয়। মায়াবতী বলেন, সংসদ চালাতে সরকার চেষ্টা না করলে বসপা-ও হাত গুটিয়ে থাকবে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পদোন্নতিতে সংরক্ষণ বিল পাশ করাতে সরকারও খুব বেশি আগ্রহী নয়। এই বিষয়ে মায়া-মুলায়মের সঙ্গে কংগ্রেসের পৃথক সমঝোতাও হতে পারে। কারণ বিলটি নিয়ে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মায়াবতী তাঁর দলিত ভোটব্যাঙ্ককে রাজনৈতিক বার্তা দিতে এক প্রকার সফল। তা পাশ না হলে মায়াবতী কংগ্রেস ও সপা-কে দায়ী করতে পারবেন। আবার বিল পাশ না হলে মুলায়মও তাঁর ওবিসি ভোটব্যাঙ্ককে রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারবেন। তাতে দু’জনেরই সব দিক রক্ষা হবে।
বিলটি পাশ করাতে আগ্রহী নয় বিজেপি-ও। কিন্তু প্রকাশ্যে বিজেপি নেতারাও বিরোধিতা করছেন না। বরং বলছেন, সংসদ সুষ্ঠু ভাবে চালানোর দায় সরকারের। রাজ্যসভার অচলাবস্থা কাটাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিক তারা।
|
শিলচরে প্রয়াত কবি অনুরূপা বিশ্বাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বরাক উপত্যকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রণী কবি, অনুরূপা বিশ্বাস আর নেই। কাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে বয়স তাঁর হয়েছিল আশি বছর। মৃত্যু কালে তিনি রেখে গিয়েছেন তিন পুত্র, এক কন্যা, দুই পুত্রবধূ, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য অনুরাগীকে। অনুরূপা বিশ্বাস আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। সহিত্যচর্চাকে তিনি বিনোদন নয়, বেছে নিয়েছিলেন চেতনার জাগরণ ঘটানোর হাতিয়ার হিসেবে। ১৯৬০ সালে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গড়ে তুলেছিলেন কাছাড় মহিলা সেবা সমিতি। পরে নারী সাহিত্যচর্চায় গড়েন, বরাক নন্দিনী সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র। কবি অনুরূপা বিশ্বাসের মৃত্যুতে বরাক উপত্যকার সাহিত্য-সংস্কৃতি মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ তাঁর মরদেহ নিয়ে শোকমিছিল বের হয় শিলচরে। পা মেলান বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। বাড়ি থেকে বঙ্গ ভবন হয়ে গাঁধীবাগে সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধার জন্য বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয় তাঁর দেহ। বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। পরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কর্মক্ষেত্রে, শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে। এখানে তিনি দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন। অনুরূপা বিশ্বাস ১৬টি গ্রন্থের রচয়িতা। ‘নানা রঙের দিন’ নামে তাঁর আত্মকথা এক অসামান্য রচনা। বরাকের ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা ‘উনিশ মে আয়ুষ্মান হো’ সাহিত্য তাঁর বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়। তাঁর ‘বরাক উপত্যকার নারী জাগরণের কথা’ এক প্রামাণ্য দলিল বিশেষ। ২০১১-র ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তিনি ত্রিপুরার ‘ভাষা সম্মান পুরস্কার’ লাভ করেন। অসম সরকারও তাঁকে সম্মান জানান।
|
হোভারক্র্যাফটের উদ্বোধন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
আরও একটি হোভারক্র্যাফট। পূর্ব ভারতের উপকূল ও জলসীমায় নজরদারি বাড়াতে আরও একটি হোভারক্র্যাফটের উদ্বোধন করল উপকূলরক্ষী বাহিনী। বুধবার রাজ্য উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদর দফতর হলদিয়া হোভার পোর্টের এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল রাজেন্দর সিংহ। ‘এইচ-১৮৮’ নামে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এই হোভারক্র্যাফটে উচ্চক্ষমতার র্যাডার রয়েছে। এই নিয়ে মোট তিনটি হোভারক্র্যাফট পেল হলদিয়া।
|
কুয়াশাচ্ছন্ন পথে দুর্ঘটনায় মৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
|
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে ধানবাদ। বুধবার সকালে চন্দন পালের তোলা ছবি। |
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু ও ১৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে, বাঁকা জেলায়। মৃতের নাম মহম্মদ আনসারি। দু’টি ঘটনার পিছনেই মূল কারণ ঘন কুয়াশা। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বাউসি থানার গুরুধাম এলাকায়। সকালে ওই এলাকায় একটি অটোর সঙ্গে অন্য এক গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে মারা যান ওই ব্যক্তি। জখম অবস্থায় চার জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে, ফুল্লিডুমরি থানার কেরিয়া এলাকায়। যাত্রী বোঝাই একটি বাস রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা মারলে জখম হন ১০ যাত্রী। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
|
ছাত্র প্রহারের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
জামশেদপুরের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্কুল সচিবের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে গোবিন্দপুর থানা এলাকার একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। ছাত্রটির নাম কুমার শাহিল (১১)। গত কাল ক্লাসে ওই ছাত্র তার শীতবস্ত্র খুলে ফেলে। এই অপরাধে তাকে মারধর করা হয়। ছাত্রের বাড়ির পক্ষ থেকে এই নিয়ে পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
|
সশস্ত্র জঙ্গি ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সিমডেগায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ পুলিশের জালে ধরা পড়ল পিএলএফআই-এর চার জঙ্গি। পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, চল্লিশটি তাজা কার্তুজ ও চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
|
দুর্ঘটনায় মৃত ১০ |
সংবাদসংস্থা • আগরতলা |
জিপ ও লরির সংঘর্ষে মারা গেলেন ১০ জন। আহত হন আরও ৪। ঘটনাটি পশ্চিম ত্রিপুরার। মোট ১৩ জন আরোহী নিয়ে জিপটা ফিরছিল একটি বিয়ে বাড়ি থেকে। ঘন কুয়াশার ফলে সংঘর্ষ ঘটে ধানপুর-কাথালিয়া সড়কে।
|
উদ্ধার ১৪ কিশোরী |
সংবাদসংস্থা • ব্রহ্মপুর |
পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় প্রত্যেকটি কিশোরীদের বয়স ১৩ থেকে ১৭-এর মধ্যে। মোট ১৪ জন কিশোরীকে পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল চেন্নাইতে। এক জন শিশু অধিকার কর্মীর সাহায্যে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হন।
|
গুজরাতে প্রথম দফার নির্বাচন আজ |
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট বৃহস্পতিবার। বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ৮৭টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে সৌরাষ্ট্রের সাতটি জেলার ৪৮টি কেন্দ্র, দক্ষিণ গুজরাতের পাঁচ জেলার ৩৫টি কেন্দ্র ও আমদাবাদের চারটি কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার যাঁদের ভাগ্য-নির্ণয় হবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি ও কংগ্রেসের বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রার্থী। যেমনকেশুভাই পটেল, বিধানসভার স্পিকার গণপত ভাসভা, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অর্জুন মোধওয়াদিয়া প্রমুখ। অন্য দিকে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য প্রচারে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে দেখা গিয়েছে ক্রিকেটার ইরফান পাঠানকে। সংখ্যালঘু ভোট টানতেই মোদীর এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
|
সরকারের ব্যর্থতায় আত্মঘাতী যুবক |
|
মরণঝাঁপ গাজিয়াবাদে। ছবি: পিটিআই |
ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এবং তা রুখতে আইনের অক্ষমতা। এর জন্য মনমোহন সরকারকেই দায়ী করে আত্মহত্যা করলেন ৩৫ বছরের এক যুবক। বুধবার গাজিয়াবাদে। মৃতের নাম কিষাণ লাল। বুধবার সকালে একটি সত্তর ফুট উঁচু জলাধারে চড়ে বসেন কিষাণ। সেখান থেকেই ঘণ্টা দু’য়েক ধরে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তিনি। ছড়িয়ে দেন ছাপানো হ্যান্ডবিলও। এর পর জলাধারের উপরেই গলায় ফাঁস দিতে যান তিনি। সেই সময় নিচে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও কিছু করতে পারেনি।
|
ফাইল লোপাট |
আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারি-সহ সিবিআই তদন্ত চলছে, এমন ছ’টি মামলার ফাইল খোয়া গিয়েছে বলে লোকসভায় জানানো হয়েছে। |
|