অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
জঞ্জালে জেরবার
ম্যাড্রাসি লেন বস্তির কাছে জিটি রোডের এক পাশে ভ্যাটের নোংরার স্তূপ। অন্য পাশে গাড়ি যাচ্ছে। মাঝে কোনওক্রমে হাঁটছেন পথচারীরা। অতিষ্ঠ বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দিনে দু’বার ভ্যাট পরিষ্কারের দাবিতে বেশ কয়েক বার রাস্তা অবরোধও করেছেন। সুরাহা হয়নি। ফরশোর রোড ও ফজির বাজার জিটি রোড সংযোগকারী রাস্তার অনেকটাই জঞ্জালের দখলে চলে গিয়েছে।
১২টার পরে পুরসভা ময়লা তুললেও সন্ধ্যার সময়ে রাস্তার অনেকটাই ফের জঞ্জালের দখলে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সামনে স্কুল। রামকৃষ্ণপুর লঞ্চঘাটের নিত্যযাত্রীও প্রচুর। জঞ্জাল এড়াতে সাধারণ পথচারীদের রাস্তার প্রায় মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়। এর জন্য কয়েক বার দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
জি টি রোডের লাগোয়া কয়েকটি আবাসনের সামনে এবং কাউসঘাট রোডের ভ্যাটগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ফলে জিটি রোড লাগোয়া বহুতলগুলির আবর্জনা জমে ম্যাড্রাসি লেন বস্তির লাগোয়া ভ্যাট এবং বাঁশতলা ঘাট রোডের ভ্যাট দু’টিতে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দুর্গন্ধে ব্যবসা করাই দায়। ময়লা তুলতে তুলতে ১২টা বেজে যায়। যানজটে পরিস্থিতি নরককুণ্ড হয়ে ওঠে।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট পুরসভাগুলিকে কভার ভ্যাট রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু হাওড়া পুরসভা এ সামান্য ব্যবস্থাটুকুও করে উঠতে পারেনি।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঢাকা দেওয়া ভ্যাট বসানোর দাবিতে রাস্তা অবরোধও হয়েছিল। পুরকর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, “৩৪, ৩১, ৩০ এবং ৩৫ ওয়ার্ডের ময়লা আমার ওয়ার্ডের ভ্যাটে জমা হয়। এত ময়লা এক বারে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ মেয়র পারিষদ সদস্য (জঞ্জাল) দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা দিনে দু’বার করে ময়লা তুলি। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জিটি রোডের মতো রাস্তার ধারে কখনওই জঞ্জাল খোলা ভাবে বেশি ক্ষণ ফেলে রাখা হয় না। অনেকেই ভ্যাটের বাইরে জঞ্জাল ফেলে যান। মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে।’’

—নিজস্ব চিত্র




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.