এক দিকে জাতীয় সড়ক বেহাল। তার ওপর নিউ জলপাইগুড়িগামী একমাত্র প্যাসেঞ্জার ট্রেন দেরিতে চলার অভিযোগ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় জাতীয় সড়ক ও বিকল্প ‘বেঙ্গল টু বেঙ্গল’ সড়কে দিনভর যানজট। প্রায় ১ মাস রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি সহ ইসলামপুর, কিষাণগঞ্জ ও ডালখোলা যেতে গিয়ে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের বেসরকারি বাস মালিকেরা লিখিত ভাবে জেলাশাসককে সমস্যার কথা জানিয়ে জাতীয় সড়ক মেরামত করার পাশাপাশি যানজট সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। জেলা রেলযাত্রী সমিতির তরফেও রেল কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক সময়ে নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন চালানোর ব্যাপারে দাবি জানানো হয়েছে। জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সড়ক মেরামতের ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছেন। ডালখোলায় বাইপাসের কাজ শেষ করে যানজট সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মালদহ সার্কেলের সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়র সন্দীপ সিংহ জানান, নিউ জলপাইগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি কেনও দেরিতে চলছে তা খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রায়গঞ্জ মহকুমার সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ গড়ে তুলতে ফ্রেব্রুয়ারি মাসে রেল কর্তৃপক্ষ রাধিকাপুর নিউ জলপাইগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করেন রেল কর্তৃপক্ষ। ওই ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টায় রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা। এক মাস ধরে ট্রেনটি তিন ঘণ্টা দেরিতে চলছে বলে অভিযোগ। ফলে নিত্যযাত্রীরা শিলিগুড়ি রুটের বাসের খোঁজে রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ভিড় জমাচ্ছেন। বাসের ক্ষেত্রেও সমস্যা। বাস মালিকদের দাবি, প্রায় তিন মাস ধরে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বেহাল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ধীর গতিতে বাস চলার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শিলিগুড়িগামী বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় জাতীয় সড়ক ও রসাখোয়া হয়ে ‘বিকল্প বেঙ্গল টু বেঙ্গল’ রোডে দিনভর যানজট থাকার বাস ঢিমেতালে চলছে। পরিণতিতে প্রতিদিনই উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়িগামী বহু বাস বাতিল করে দিচ্ছেন মালিক পক্ষ। প্রতিদিনই নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি চলছে। রায়গঞ্জের নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী জয় রায় ও জয়ন্ত সরকাররা জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসনের সক্রিয় হওয়া উচিত। |