এনবিএসটিসি
আগ্রহ নেই স্বেচ্ছাবসরে
বিজ্ঞপ্তি জারির প্রায় তিন সপ্তাহ বাদেও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমে (এনবিএসটিসি)আগাম অবসর প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে আগ্রহী আবেদনকারীর সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি। ১৩ ডিসেম্বর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হবে। তার আগে আরও কত সংখ্যক কর্মী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবেন তাও স্পষ্ট নয়। ফলে, বিপুল খরচ কমিয়ে সংস্থার আর্থিক হাল ফেরানোর ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাবসরের দাওয়াই কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংস্থার অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংস্থার চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বিজ্ঞপ্তির সময় পেরোতে এখনও কিছু দিন বাকি রয়েছে। বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে এমডি ইতিমধ্যে বৈঠক করেছেন। আমি নিজেও কিছু সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি ভিআরএস নিয়ে সাড়া মিলবে। ১২-১৪ তারিখ নাগাদ পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে যা বলার বলব। নিগমের পরিচালন বোর্ডের সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ মঙ্গলবার ওই প্রসঙ্গে বলেন, ‘৯০ জনের মত কর্মী ইতিমধ্যে ভিআরএস নিতে চেয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। আরও অনেকে ফর্ম নিয়েছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা পাঁচশোর বেশি দাঁড়িয়ে যাবে।” নিগম সূত্রেই জানা গিয়েছে, রাজ্য পরিবহণ দফতর ১৪ নভেম্বর সংস্থার আগাম অবসর প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে এক মাসের সময়সীমার উল্লেখ করে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন জানানর নির্দেশিকা দেওয়া হয়। প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ বাড়াতে নিগম চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। কিছুদিন আগে কোচবিহারে স্বেচ্ছাবসরের ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা করেন। ওই প্যাকেজে বলা হয়, ইচ্ছুকরা পেনশনের সুবিধে পাবেন। তার ওপর আবেদন গৃহীত হওয়ার দিনেই মোট পাওনার এক তৃতীয়াংশ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। ৯০ দিনের মধ্যে দুই কিস্তিতে বাকি প্রাপ্য রাজ্য সরকার মিটিয়ে দেবে। নিগমের এক আধিকারিক জানান, কর্মী ও বাসের অনুপাত বেড়েছে। তেলের দামও বেড়েছে। প্রতি কিলোমিটার বাস চালিয়ে সংস্থার ১১ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তার ওপর প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মীর জন্য ফি মাসে বেতন দিতে প্রায় ১২ কোটি টাকা খরচ হয়। স্বেচ্ছাবসরে সাড়া মিললে খরচের বোঝা কিছুটা কমবে। এনবিএসটিসি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সি মুরুগণ বলেন, “বিভিন্ন কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে ভিআরএসের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি। দেখা যাক কি হয়।” ইনটাক অনুমোদিত এনবিএসটিসি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কোচবিহারের ডিভিশনাল সম্পাদক সুজিত সরকার বলেন, “যেখানে বেতন, পেনশন নিয়মিত মিলছে না। সেখানে প্যাকেজের টাকা ঘোষণা মত মিলবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। তা ছাড়া শর্ত মানলে কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই কর্মীরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।” সিটুর এমপ্লয়িজ ফেডারেশন সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত জানান, অসুস্থদের স্বেচ্ছাবসরের পক্ষে তাঁরা রয়েছেন। তবে বাকিরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করবেন বলে তিনি জানান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.