ট্রাকে প্লাস্টিকের পাইপের মধ্যে কাশির সিরাপ কার্টুন লুকিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার পথে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিআরআই)। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির কাছে লিউসিপাকুরি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম নিরঞ্জন মণ্ডল। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। ট্রাকটিও আটক করা হয়েছে। নিরঞ্জন ওই ট্রাকের মালিক এবং চালক। সেখান থেকে ২৫ হাজার বোতল কাশির সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় বাজারে যার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “নিরঞ্জন আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তার সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে কাশির সিরাপের চাহিদা রয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই পাচার চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে কাশির সিরাপ পাচার করা হয়। চোরাচালান চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালায়। যে সীমান্তে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা থাকে সেখান দিয়েই তারা পাচারের ছক কষে। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, এবারে রাজস্থান থেকে ওই ট্রাকে প্লাস্টিক পাইপ (পিভিসি) তোলা হয়। সেগুলি ত্রিপুরার আগরতলার এনবি রোডের একটি দোকানে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। নদীয়ায় পৌঁছনোর পর একটি জায়গায় ট্রাকটিতে ৫০০ কার্টুন কাশির সিরাপ তুলে পাইপের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। সেগুলি মিজোরাম হয়ে বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। মঙ্গলবার ভোরে লিউসিপাকুরিতে ট্রাকটি আটক করে গোয়েন্দারা। ২ জন পালিয়ে গেলেও ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের আইনজীবী রতন বণিক জানান, গত অক্টোবরে চ্যাংরাবান্দা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে ২১ হাজার বোতল কাশির সিরাপ সহ ২ জনকে আটক করে ডিআরআই। তিনি বলেন, “কাশির সিরাপের আন্তর্জাতিক একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। নিরঞ্জন ওই দলের একজন সদস্য বলে জানা গিয়েছে।” এদিন ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। |