জমি নিয়ে বিবাদের জেরে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ের জয়রামখালি এলাকায়। ঘটনায় জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনজাদ শেখের নাম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃমমূল নেতা।
স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় কৃষক গোলাম নবী শেখের অভিযোগ, “২০০১ সালে আমি দুই বিঘা জমি ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে পাশের গ্রামের ব্যবসায়ী মোমেন মোল্লার কাছে বন্ধক রেখেছিলাম। কিছুদিন পর টাকা জোগাড় করে আমি তাঁর কাছে গিয়ে জমি ফেরত চাইলে তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। আমাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হতে থাকে।” নবী বিষয়টি পুলিশকে জানান এবং চুক্তি অনুযায়ী জমি ফেরত না দেওয়ার জন্য মোমেনের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে মোমেন মোল্লা বলেন, “আমি ২০০১ সালে তখনকার বাজারদর অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা বিঘা প্রতি হিসাবে দু’বিঘা জমির জন্য ১৮,০০০ টাকা নবী শেখকে দিয়েছিলাম। নবী শেখ আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও তা করেনি।”
নবীর দাবি, এ বছর বর্ষার সময় তিনি পুলিশের অনুমতি নিয়েই ওই জমিতে ধান চাষ শুরু করেন। যদিও ক্যানিং থানা সূত্রে জানানো হয়েছে এমন কোনও অনুমতি নবীকে দেওয়া হয়নি। গত মাসে নবীর পরিবারের লোকজন মাঠ থেকে ধান কাটতে গেলে মোমেন মোল্লা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনজাদ শেখের অনুগত কিছু দুষ্কৃতীকে নিয়ে তাঁদের মারধর করে ও মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় আহত ৪ জন বর্তমানে ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।” নবীর মেয়ে নুরজাহান খাতুন এ ব্যাপারে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নুরজাহানের অভিযোগ, “থানায় অভিযোগ জানানো পরে অভিযুক্তেরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে।” অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনজাদ শেখ বলেন, “মারধর বা শ্লীলতাহানির কোনও ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। নবী শেখের পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জমি বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |