জঙ্গিপুরের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল জঙ্গিপুর শহর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাজেশ গুপ্ত এবং এএসআই মহম্মদ নাজিমুদ্দিনকে। পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর ও পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক মহিলাকে মারধর করার অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত জঙ্গিপুর শহরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ চলে। পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুরও করে জনতা। অবরোধ করা হয় লালগোলা-জঙ্গিপুর রাজ্য সড়কও। একাধিক বোমা ও ইটের আঘাতে আহত হন চার পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে রাজেশ গুপ্তর মাথা ফেটে যায়। তাঁর অবস্থা গুরুতর। ‘প্রহৃতা’ মহিলা ও আহত পুলিশকর্মীদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতেই বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর-সহ পদস্থ কর্তারা। মঙ্গলবার এলাকায় পুলিশ টহল থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। |
ধৃত গ্রামবাসী। —নিজস্ব চিত্র। |
এসপি হুমায়ুন কবীর বলেন, “মহম্মদপুরে ভিটে জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাধে। আদালতের কোনও নির্দেশ ছিল না। কোনও বড় ধরনের অশান্তিও হয়নি। তা সত্ত্বেও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজেশ গুপ্ত ও এএসআই মহম্মদ নাজিমুদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসিকে ঘটনার কথা জানাননি। আইসির কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি।” তিনি বলেন, “তবে ওই মহিলাকে মারধরের ঘটনাটি স্বতন্ত্র। কর্তব্যে গাফিলতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ওই দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়ছে। আপাতত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পুলিশ সুপার বলেন, “এলাকায় মাইক নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয় কিছু লোক। এরপরেই স্থানীয় মানুষ প্ররোচিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইতিমধ্যে পুলিশকে মারধর, ফাঁড়ি ভাঙচুর, বোমা ছোঁড়া-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এলাকায় বিধায়ক কংগ্রেসের আখরুজ্জামান বলেন, “পুলিশ সুপারের কাছে মহিলাকে মারধরের বিচার চাওয়া হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে দু’জন পুলিশকর্মী সাসপেন্ড হয়েছেন। এখন যারা পুলিশের উপর হামলা, ফাঁড়ি ভাঙচুর এবং ঘটনায় উসকানি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। যাতে ভবিষ্যতে এমনটা না ঘটে।” |