|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় অভিযুক্ত টিএমসিপি |
অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কলেজের সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির কৈফিয়ত চাইলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রেরা। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে।
দুপুরে কলেজের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা সমাধানের দাবিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ ঘোষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। সেই সময় পরিচালন সমিতির সভাপতিকে না-জানিয়ে অধ্যক্ষ দু’দিনের ছুটি কেন নিয়েছেন, তা-ও জানতে চান বিক্ষুব্ধ ছাত্রেরা। দুপুর ১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয় প্রবীণ অধ্যক্ষকে। যদিও অধ্যক্ষ নিজে এই নিয়ে কোথাও অভিযোগ জানাননি। তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে দু’দিন কলেজে আসতে পারিনি। তবে, পরিচালন সমিতির সভাপতিকে জানিয়ে ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই।”
এ দিন টিএমসিপি সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, অধ্যাপকেরা নিয়মিত না-আসায় কলেজের কয়েকটি বিভাগে নিয়মিত ক্লাস হয় না। এর ফলে পঠনপাঠনে অসুবিধা হচ্ছে। কলেজ ক্যাম্পাসে পানীয় জলের যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ছেলেদের হস্টেলে জেনারেটর না থাকায় লোডশেডিং হলে খুবই সমস্যা হয়। অভিযোগগুলি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও প্রতিকার হয়নি। এক ধাপ এগিয়ে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দীপক দাস অভিযোগ করেন, ‘‘গত শনি ও সোমবার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতিকে না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজে আসেননি। এ ছাড়া কলেজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীরা একাধিকবার অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সমস্যাগুলি না-মেটায় এ দিন অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা।” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, “কয়েকজন ছাত্র বিভিন্ন দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। ওই সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।” কলেজে সাব মার্সিবল পাম্প থাকায় পানীয় জলের সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই জানিয়েছেন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের। অধ্যক্ষের উপস্থিতি নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। শুধু বলেন, “ঘেরাও করার ঘটনা শুনেছি। এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|