|
|
|
|
স্বসহায়ক দলে গণ্ডগোল, বন্ধ মিড-ডে মিলের রান্না |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
স্বসহায়ক দলের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলায় বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের রান্না। ফলে মিল পেল না বিদ্যালয়ের ৮৯০ জন পড়ুয়া। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া মহকুমার মহিষাদল রাজ হাইস্কুলে।
এ দিন স্কুলের ‘মাদার টেরেজা স্বসহায়ক দলের’ ৬ জন সদস্য পুনর্বহালের দাবি তুললে বাধে গোলমাল। সেই দাবিতেই বিদ্যালয়ের চালের গুদাম ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় ওই স্বসহায়ক দলের একাংশ। স্কুল সূত্রে খবর, ২০০৬ সালে স্থানীয় মহিলারা ‘মাদার টেরেজা স্বসহায়ক দল’ গড়ে স্কুলের মিড-মে মিল পরিচালনার দায়িত্ব নেন। সে সময় ১২ জনকে নিয়ে গঠিত হয় এই দল। তবে ২০০৮ সালে ওই দলের কাজ শুরুর কয়েকদিন পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের তিন সদস্য। পরে নানা কারণ দেখিয়ে আরও তিন জন কাজে আসেননি। ফলে এতদিন বাকি ৬ জনের পরিচালনাতেই চলছে স্কুলের মিড-ডে মিল ব্যবস্থা। কিন্তু সম্প্রতি পুরনো ওই ৬ সদস্য ফের কাজে যোগ দেওয়ার দাবি জানান। |
|
বন্ধ চালের গুদামঘর। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
কিন্তু কর্মরত সদস্যরা সেই সুযোগ দিতে নারাজ হওয়াতেই বাধে সমস্যা। পুরনো ৬ সদস্যদের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতি থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও লাভ হয়নি। তাঁদের নেতৃত্বে থাকা স্বপ্না মাইতি বলেন, “আমরা ১২ জন উদ্যোগী হয়ে জিনিসপত্র কিনে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৬ জন আসতে পারিনি। এবার কাজে যোগ দিতে চাওয়ায় ওঁরা বাধা দিচ্ছে।” এমনকী হেনস্থার অভিযোগও করেন তিনি। ঘটনার বিহিত চেয়ে বিদ্যালয়ের চালের গুদাম ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। যদিও কর্মরত সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের নেতৃত্বে থাকা স্মৃতিকণা বক্সী জানান, “যা বলার হেডস্যার বলবেন।” দিনভর অভুক্ত পড়ুয়াদের দুপুরে শুধুমাত্র কেক দিয়েই শান্ত করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম তুঙ্গ বলেন, “আমি সব কিছু জানি না। শুধু দেখেছি কেউ গুদাম ঘরে তালা দিয়ে দিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।” ঘটনার পর প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতি, প্রধান শিক্ষক ও স্বসহায়ক দলের দু’পক্ষ আলোচনায় বসেন। পরিচালন সমিতির সম্পাদক জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিকের কথায়, “আমরা দু’পক্ষকেই জানুয়ারি মাস থেকে কাজ করতে বলেছি। যদি সমস্যা মিটে যায় ভাল নাহলে নতুন দল খুঁজব আমরা।” |
|
|
|
|
|