|
|
|
|
|
‘ওদের দেশে বাউন্সি পিচে সব
টেস্ট জেতে নাকি ইংল্যান্ড’
সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায় • কলকাতা |
|
পারেন বটে ধোনি!
ঘরের মাঠে পছন্দমাফিক ডিজাইনার উইকেটে আগের টেস্টেই দশ উইকেটের ‘থাবড়া’ খেয়েছেন ইংরেজদের হাতে। তার পর ইস্তক ইডেন কিউরেটরের সঙ্গে র্যাঙ্ক টার্নার চাওয়া আর না-পাওয়া নিয়ে ভারত অধিনায়কের লেগে রয়েছে। কলকাতা টেস্ট শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগেও মাঠে প্রবীর মুখোপাধ্যায় আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি পরস্পরকে এড়িয়ে গেলেন মঙ্গলবার। ধোনির ওপর এমনই চাপের পাহাড় যে, শহরের জামাই শোনা যাচ্ছে গত দু’দিনের অনেকটা সময়ই আলিপুর রোডের শ্বশুরবাড়িতে রিল্যাক্স করেছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধোনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ভাঙবেন তবু মচকাবেন না।
প্রবীরের তৈরি পিচকে ‘ভালই তো দেখলাম’ বলেও একই সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “তবে নিজেদের দেশে আমি যে ধরনের টার্নার চাই বলেছি তার থেকে সরে আসার কোনও কারণ দেখছি না।” ইডেনে জিতলে সৌরভের শহরেই ‘দাদা’র ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জেতার রেকর্ড (২১) ছোঁবেন ধোনি। কিন্তু সে সব তাঁর মাথায় এই মুহূর্তে আছে কি না, ক্রিকেটদেবতাই বোধহয় জানেন। সে দিক আদৌ না মাড়িয়ে ধোনি তখন বলে চলেছেন, “আরে, জেতা-হারাটা সব নয়। কেউই সব ম্যাচ জেতে না। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কি ওদের দেশে বাউন্সি উইকেট বানিয়ে সব টেস্টেই জেতে নাকি? তা বলে নিজের দেশে নিজেদের টিমের শক্তি অনুযায়ী পিচ বানিয়ে খেলব না? এখনও বলছি, আমাদের দলের বোলিং শক্তি হল স্পিন। সে জন্য নিজেদের দেশে স্পিনিং ট্র্যাকই চাই।”
কিন্তু আপনার এই পিচ-তত্ত্বের সমালোচনা তো আপনার দেশের প্রাক্তনরাই করছেন? ‘ক্যাপ্টেন কুল’ এ বার উত্তপ্ত। চোয়ালটা শক্ত করে বলে দিলেন, “এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার কোনও মঞ্চ আমার হাতে নেই। আমি টিভিতে কমেন্ট্রি করি না। কিংবা কলাম লিখি না।” |
|
সহবাগের ইডেন মেনুতে কি ইংরেজ বোলিং থাকবে? ছবি: উৎপল সরকার। |
ইডেন টেস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে তা হলে প্রি-ম্যাচ প্রেস মিটে কী বললেন ভারত অধিনায়ক? এটুকুই বললেন, “গোড়ার দিকে এই পিচ স্পিনারদের তেমন সাহায্য করবে না। বরং বছরের এই সময়ে এখানে ম্যাচের শুরুর দিকে পিচ থেকে ফাস্ট বোলাররা সাহায্য পায়। সে জন্য এই টেস্টে পেসারদের গুরুত্ব অপরিসীম। পরের দিকে পিচ কতটা ভাঙে সেটা আমাদের দেখতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে আবার এখানকার উইকেটের মাটির চরিত্রটা গুরুত্বপূর্ণ।” এবং এই জায়গাটায় এসে ধোনি মনে করিয়ে দিলেন, “আমাদের ওপেনারদের ওপর এই টেস্টে আমরা প্রচুর নির্ভর করছি। বীরু-গোতি দু’জনেই বড় রান পেলে তার চেয়ে ভাল আর কিছু হবে না। তবে সে জন্য ওদের ওপর চাপ তৈরি করতেও চাই না। বরং ওরা যাতে নিজেদের মতোই ব্যাটটা করে, সে ব্যাপারে ওদের পাশে আছি।” আর বোলিং কম্বিনেশন? হরভজনের ফ্লু-র পরে নিশ্চয়ই আরও বেশি করে দুই পেসার-দুই স্পিনার?
ধোনি চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে চার আঙুল দেখান! র্যাঙ্ক-টার্নার তৈরিতে অরাজি ইডেন কিউরেটরকে বার্তা? ইচ্ছে থাকলে আমি এই পিচেও চার স্পিনার খেলাব! রবিবার ধোনির ভারত জিতে গ্যালারিতে বাজি পুড়বে কি না সময়ই বলবে। কিন্তু ইডেনে প্রথম বল পড়ার আগেই ধোনি-ধামাকার শব্দ উঠে পড়ল! |
|
|
|
|
|