আর সত্যি বলতে কী, প্রবীরদার এই অনমনীয় মনোভাব কিন্তু ধোনিদের উপকারই করবে বলে মনে হয়। প্রবীরদার তৈরি এই পিচে খেলে আখেরে ভারতের লাভই হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মত, ভারতের ভাল সারফেসেই খেলা উচিত। কারণ ইংল্যান্ডের স্পিনাররা এই মুহূর্তে অসাধারণ ফর্মে আছে। তাই প্রচণ্ড ঘূর্ণি পিচ তৈরি করলে শেষ পর্যন্ত তাতে ইংল্যান্ডেরই লাভ হতে পারে।
আমার ধারণা, ধোনি ইডেনে দুই পেসার দুই স্পিনারের পুরোনো ছকে ফিরে যাবে। দিন্দা খেলবে, এমন একটা আশা আমি হয়তো করছিলাম। কিন্তু এত চাপের ম্যাচে ধোনি ওর বদলে ইশান্ত শর্মার অভিজ্ঞতার দিকেই ঝুঁকবে বলে মনে হচ্ছে।
তবে লোকের নজর সব থেকে বেশি থাকবে সচিনের দিকে। এই মুহূর্তে সচিন যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, নিজের গোটা ক্রিকেট জীবনে তেমন পরিস্থিতির সামনে ওকে আগে কখনও পড়তে হয়নি। আমার তো মনে পড়ে না ওর যোগ্যতা আর ক্ষমতা নিয়ে এত প্রশ্ন আগে কখনও উঠেছে বলে। তবে এই সব এক কথায় থামিয়ে দিতে ওকে এখন শুধু নিজস্ব স্টাইলে ব্যাটে উত্তরটা দিতে হবে। |
অন্য দিকে, ইডেন টেস্টে ইংল্যান্ড দলে ফিরছে ফিন আর ইয়ান বেল। যদিও ফিন কতটা ম্যাচ ফিট সেটা দেখা দরকার। ফিন আর বেল ফেরাতে ইংল্যান্ডের বোলিং শক্তি বাড়বে। তবে ইংল্যান্ডের আসল চ্যালেঞ্জ এটা প্রমাণ করা যে ওদের দলে কুক, পিটারসেন আর প্রায়রের বাইরেও ব্যাটসম্যান আছে। ইডেনেও যুদ্ধটা সেই স্পিনার বনাম ব্যাটসম্যানই হবে। আর এই যুদ্ধটা যে জিতবে তারাই ম্যাচ নিয়ে যাবে। |