|
|
|
|
মিষ্টি ও দুধ-ছানা বিক্রেতাদের দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মিষ্টি ব্যবসায়ী বনাম দুধ-ছানা বিক্রেতাদের বিরোধ বেধেছে মেদিনীপুরে। আলোচনাতেও সমস্যা মেটেনি। দু’পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড়। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর পুরসভার দ্বারস্থ হয় দুগ্ধ ও ছানা ক্ষুদ্র বিক্রেতা সমিতি। পুরপ্রধান প্রণব বসুর কাছে লিখিত আবেদনপত্র দেওয়া হয়। সমিতির বক্তব্য, মিষ্টি ব্যবসায়ীরা দুধ ও ছানা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে সমিতির সদস্যদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
সমস্যার সূত্রপাত মেদিনীপুর শহরের দু’টি মিষ্টির দোকান নিয়ে। ওই দুই দোকানে যাঁরা দুধ ও ছানা দিতেন, তাঁদের একাংশের সঙ্গে কিছু দোকান কর্মচারীর বিরোধ বাধে। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির মেদিনীপুর শহর শাখার সম্পাদক সুকুমার দে বলেন, “দোকানে কারা কাজ করবেন, তা কি দুধ-ছানা বিক্রেতারা বলে দেবেন? এ ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। এক দোকান কর্মচারীর সঙ্গে এক দুধ বিক্রেতার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ওই কর্মচারীর দাবি ছিল, যে দুধ দেওয়া হচ্ছে, তার মান খারাপ। পরে ওই বিক্রেতা জানান, ওই কর্মচারীকে আর কাজে রাখা যাবে না।” তাঁর কথায়, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে দু’টি দোকান ঘিরে এই পরিস্থিতির সূত্রপাত, সেখানে দুধ-ছানা দেওয়া না হলে আমরা কেউই দুধ-ছানা নেব না।”
দুগ্ধ ও ছানা ক্ষুদ্র বিক্রেতা সমিতির জেলা সম্পাদক উত্তম গোপ পাল্টা বলেন, “মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের বিরোধের কোনও বিষয় ছিল না। সোমবার রাতে আলোচনাও হয়। কিন্তু, হঠাৎই ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে সমিতির কেউ দুধ-ছানা নেবেন না।” তাঁর মতে, “আগে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কোনও পক্ষ যদি ধর্মঘট বা বয়কট করে, তাহলে ৪৮ ঘন্টা আগে নোটিস দিয়ে তা জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি।” সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু। তাঁর কথায়, “দুধ ও ছানা বিক্রেতারা এসেছিলেন। তাঁদের সমস্যার কথা বলেছেন। বিষয়টি দেখছি।” |
|
|
|
|
|