হাওড়া জেলা পরিষদের ৪০টি আসনের মধ্যে ২৯টিই সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।
জেলায় ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন বিন্যাসের যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতেই বিষয়টি জানা গিয়েছে। ২৯টি সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তফসিলি জাতি, ওবিসি এবং মহিলা প্রার্থীরা। অসংরক্ষিত আসন রয়েছে বাকি ১১টি।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দু’ভাবে আসন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রথমটি তফসিলি জাতি এবং ওবিসিদের জন্য। দ্বিতীয় সংরক্ষণের ব্যবস্থা মহিলাদের জন্য। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতোই ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রেখে আসন বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ৫০ শতাংশ সংরক্ষিত আসনে তফসিলি জাতি, ওবিসি এবং সাধারণ সব সম্প্রদায়ের মহিলাই রয়েছেন বলে জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানান।
২০০৮ সালের তুলনায় হাওড়ায় এ বার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরে আসন সংখ্যাও বেড়েছে। জেলা পরিষদের আসন ছিল ৩৬। বেড়ে হয়েছে ৪০। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ছিল ৪৩৯। বেড়ে হয়েছে ৪৬২। গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ছিল ২১৪১। বেড়ে হয়েছে ২৪৩১।
গত সোমবার হাওড়ার জেলাশাসক তথা জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আসন বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন। আগামী ১৫ দিন ধরে তালিকাটির উপরে আপত্তি বা সংশোধনী আনা যাবে। সেগুলি খতিয়ে দেখার পরে তার ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন। তবে চূড়ান্ত তালিকা কবে প্রকাশিত হবে, তার দিন-ক্ষণ ঠিক হয়নি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলা পরিষদের মতোই পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও মহিলাদের আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোন কোন আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে ২০১২ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে। সেই মতো বুথের সীমানার পুনর্বিন্যাসও হয়েছে। এ বছরের অগস্ট মাসে বুথের সীমানা পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে দেখা গিয়েছিল জেলার ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট পঞ্চায়েত-ভিত্তিক সংসদ ছিল ১৭৫৭টি। পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন ২১৪১ জন। অন্য দিকে, এ বার গ্রাম পঞ্চায়েতে সংসদের সংখ্যা ২৪৩০টি। পঞ্চায়েতের সদস্যের সংখ্যা রাখা হয়েছে ২৪৩১ জনকে। জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমানা পুনর্বিনাসের পরে বুথের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। একেকটি বুথকে সাধারণত একটি সংসদের মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে বুথের সংখ্যা কম থাকায় অনেক বুথ তথা সংসদে দু’জন করে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ বারে বুথের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একেকটি বুথ তথা সংসদে দু’জন সদস্য নির্বাচন করার দরকার হবে না। তার ফলেই গ্রাম সংসদের সংখ্যার সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যের সংখ্যার কার্যত ফারাক থাকেনি। |
মোট আসন ৪০ সংরক্ষিত ২৯ |
মহিলা সংরক্ষিত আসন ২০
ওবিসি ৪
তফসিলি ৪
সাধারণ ১২ |
|