কৃষকদের জন্য হেল্প লাইন চালু করতে চলেছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক। কৃষি ঋণ পেতে গেলে কী ভাবে আবেদন করতে হবে? কোন নথি জমা দিতে হবে? কবে আবেদন করতে হবে? আবেদনের কতদিনের মধ্যে ঋণ পাওয়া যাবে? ঋণ পরিশোধের শর্ত কী? যাবতীয় তথ্য ফোনেই জেনে নিতে পারবেন কৃষকরা। ফোনে ঋণের আবেদন করে নিজেদের নামও নথিভুক্ত করা যাবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অর্থাৎ ব্যাঙ্কের কাজের সময়ে হেল্প লাইনের সুযোগ মিলবে। সোমবার জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে সৌরভ চক্রবর্তী এ কথা জানান। তিনি বলেন, “চাষিদের সবরকম সাহায্য করতে আমরা বদ্ধপরিকর। হেল্প লাইন তৈরির কাজ চলছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নম্বর জানানো হবে। কেউ ঋণ পেতে হয়রানি হলেও অভিযোগ জানাতে পারবেন।”
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১২ ডিসেম্বর হেল্প লাইনের নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে। সেদিন থেকেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। কৃষকদের কাছে ব্যাঙ্কের পরিষেবা বেশি করে পৌঁছতেই উদ্যোগী হয়েছেন নতুন চেয়ারম্যান। এ দিনই প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সৌরভবাবু জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে সরকারি মনোনীত প্রতিনিধি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে উপস্থিত পরিচালন সমিতির সদস্য, ব্যাঙ্কের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সহ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। ওই বৈঠকেই হেল্প লাইন চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। আগামী ১২ নভেম্বর পরিচালন সমিতির বৈঠকে এ বিষয়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ঋণ নিয়ে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। এ দিন সমবায় ব্যাঙ্কের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের সভায়, ভোটাধিকার থাকা ১১ জন পরিচালন সমিতির সদস্যের মধ্যে ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। সকলেই সৌরভবাবুর পক্ষে ভোট দেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাঙ্কের পুর্বতন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক গোবিন্দ রায়ের বিরুদ্ধে আলু কেনার টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সদস্যরা। যদিও গোবিন্দবাবু ও তাঁর অনুগামীদের আবেদনে কলকাতা হাইকোর্ট নতুন চেয়ারম্যান বাছাইয়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ উঠে গেলে রাজ্য সরকারের সমবায় দফতর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার নির্দেশ দেয়। সেই মত এ দিন নির্বাচন হয়। রিচালন সমিতির ফরওয়ার্ড ব্লকের সদস্য মিহির সেনগুপ্ত বলেন, “হাইকোর্টে মামলা চলছে। সে সময়ে তড়িঘড়ি চেয়ারম্যান নির্বাচনের সভা করা উচিত হয়নি। সে কারণেই আমরা বামফ্রন্টের সদস্যরা সভায় যাইনি। আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।” ব্যাঙ্কের কাজ সম্পর্কে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছেন নয়া চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “ব্যাঙ্কের কাজকর্মে প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। বেকারদের বিভিন্ন প্রকল্পেও ঋণ দেওয়া হবে। পরিচালন সমিতির সকল সদস্যকে নিয়েই কাজ করা হবে।”
|