কংগ্রেস-তৃণমূলের কোন্দল এ বার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পর্যন্ত গড়াল। রেলের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী-সহ কয়েক জন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন রেজিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁকে ওই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অধীরবাবু বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, “যা বলার, দলের জেলা নেতৃত্ব বলবেন।” মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস হুমায়ুনের অভিযোগকে ‘পাগলের প্রলাপ’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। |
হুমায়ুন সোমবার মহাকরণে বলেন, “অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে যা খুশি তা-ই করেছেন। কেউ ওঁর কথার প্রতিবাদ করলে উনি তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করতে, এমনকী, প্রাণে মারতেও দ্বিধা করেন না।” কংগ্রেসের অন্য কয়েক জন নেতাও তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন বলে হুমায়ুনের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বেলডাঙা থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে নিজের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও করেন হুমায়ুন। এখন তাঁর সঙ্গে তিন জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। সাত জনের পুলিশ পিকেট থাকে তাঁর বাড়িতে। হুমায়ুন জানান, ওই সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের তরফে অশোকবাবু বলেন, “বেলডাঙা-২ ব্লকে অধীর চৌধুরীর সভায় জনতার ঢল দেখে হুমায়ুন কবীর পাগলের প্রলাপ বকছেন। এর আর কী উত্তর দেব? বেলডাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের দলের হাতে। ১২ ডিসেম্বর স্মারকলিপি দেওয়ার অজুহাতে সেখানকার সভাপতি বিলকিস বেগমের উপর হামলার ছক কষেছে তৃণমূল। এই সব কথা তারই ইঙ্গিত।” |