স্কুল নির্বাচনে হার তৃণমূলের |
তৃণণূলের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে হারল শাসকদল। এগরার পাঁচরোল হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬টি আসনের মধ্যে মাত্র ২টি আসন জেতে তৃণমূল। বাকি চারটির পায় কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস জোট। গত ৪ বছর ধরে অবশ্য হাইস্কুলে নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তার আগে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য রাধানাথ মিত্র বলেন, “দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই হারের কারণ। একজোট হয়েছিল বিরোধীরাও। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষ আমাদের সতর্ক করলেন।” প্রসঙ্গত, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধি নির্বাচনেও ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে জেতে তৃণমূল। রাধানাথবাবুর মতে, পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে মানুূষের অসন্তোষই প্রতিফলিত স্কুল নির্বাচনের ফলাফলে।
অন্য দিকে, রবিবার মহিষাদলের গেঁওখালি নিকুঞ্জ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ৬ টি আসনেই জয়ী হল বামপন্থীরা। পরিচালন সমিতির ৪৫১ জন ভোটারের মধ্যে ৩৭২ জন ভোটদান করেন। গত বছর বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে ছিল। এলাকার নাটশাল গ্রামপঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান শ্যাম ভুঁইয়া বলেন, ‘‘মানুষ দেড় বছরের সরকারকে চিনে গিয়েছেন।” যদিও এলাকার তৃণমূলের উপপ্রধান গণেশ সামন্তের দাবি, “এই ভোট দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের ফল বিচার ঠিক নয়।”
|
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু, ক্ষোভ |
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। সোমবার সকালে দক্ষিন পূর্ব রেলের হলদিয়া-পাঁশকুড়া শাখায় রাজগোদা-রঘুনাথবাড়ি ষ্টেশনের মাঝে কন্ঠিবাড় গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ বেরা (৩০)। বাড়ি তমলুক থানার অনন্তপুর গ্রামে। পেশায় রাজমিস্ত্রি তিনি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে সাইকেলে চড়ে কাজে রওনা দেন বিশ্বজিৎবাবু। গ্রামীণ পাকা রাস্তা ধরে রামতারকের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই সাড়ে ৮টা নাগাদ তমলুকের নীলকুণ্ঠা পঞ্চায়েত এলাকার কন্ঠিবাড় গ্রামের কাছে হলদিয়া-পাঁশকুড়া শাখার রেললাইন পার হওয়ার সময় তিনি দ্রুতগতিতে দিঘা থেকে আসা সাঁতরাগাছিগামী ট্রেনের সামনে পড়েন। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কন্ঠিবাড় গ্রামে রেললাইন ও রাস্তার ওই সংযোগস্থলে কোনও লেভেলক্রসিং নেই। ফলে আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। লেভেল ক্রশিংয়ের দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা আগেও রেললাইন অবরোধ করেছিলেন।
|
বিতর্কের মধ্যেই শুরু হল ক্ষুদিরাম মেলা। সোমবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ের এইচএফসি ময়দানে ক্ষুদিরামের ১২৩তম জন্মোৎসব উপলক্ষে এই মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মেলার আয়োজন করেছে ‘ক্ষুদিরাম জন্মোৎসব ও মেলা কমিটি’। মেলা চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ দিন উদ্বোধনী হাজির ছিলেন তমলুক রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহারাজ স্বামী হরিময়ানন্দ মহারাজ, কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডল, সম্পাদক ও কাউন্সিলর স্বপন নস্কর প্রমুখ। দীর্ঘদিন ধরেই এই মেলা ঘিরে অশান্তি চলছিল। মেলা পণ্ড করতে রবিবার স্থানীয় কংগ্রেসের নেতা জহরলাল দাস মেলা ময়দানে আগুন লাগিয়ে দেন বলেও থানায় অভিযোগ জানান তৃনমূল কাউন্সিলর স্বপনবাবু। আগে অবশ্য স্বপন অনুগামীদের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জহর। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেলার সম্পাদক পদ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
|
প্রাক্তন বাম বিধায়ক প্রয়াত |
বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সুধীরকুমার পাণ্ডে (৮৬) প্রয়াত হয়েছেন। রবিবার ভোরে লালগড়ের ধরমপুরে নিজের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। গোহমিডাঙা হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক সুধীরবাবু পঞ্চাশের দশকে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে বিনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচিত হয়ে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন তিনি। পরে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিএম দল গঠন হলে হরেকৃষ্ণ কোঙারের নেতৃত্বে সুধীরবাবু সিপিএমে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে সিপিএমের তৎকালীন লালগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক হন তিনি। ১৯৭৮ সালে লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন সুধীরবাবু। আশির দশকে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেন সুধীরবাবু। ১৯৯৬ সালে তাঁর স্ত্রী মহিতাদেবীর মৃত্যু হয়। সুধীরবাবুর দুই পুত্র ও দুই কন্যা বর্তমান।
|
দু’ দিন ব্যাপী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়ে গেল মহিষাদলের রাজ ময়দানে। মহিষাদল ‘কোচিং সেন্টার’ ক্লাবের উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর ধরেই হওয়া এই টুর্নামেন্টে এ বছর জেলার ৮টি দল যোগ দেয়। ভিন রাজ্যের বহু খেলোয়াড়ও ওই দলের সঙ্গে যোগদান করেন। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে তমলুক ভ্যালিয়েন্ট ও মহিষাদল কসমস ক্লাব। রবিবার টসে জিতে ভ্যালিয়েন্ট ব্যাট করতে নামলেও ৮ উইকেট বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে জয়ী হয় কসমস। এই নিয়ে পরপর তিনবার জয়ী হল কসমস। রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী দল-সহ রানার্সকেও ট্রফি ও নগদ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
|
কৃষকসভার ৩৮-তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল রবিবার পটাশপুর-২ ব্লকের খাড় হাইস্কুলে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ২৪৬ জন প্রতিনিধি। সম্মেলনে ৩২ জনের একটি ব্লক কমিটিও গঠিত হয়। কমিটির সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন বিজন মহাপাত্র ও সামসুল বেগ। হাইস্কুলের মাঠে আয়োজিত সমাবেশে মূল বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাপস সিংহ, প্রাক্তন সাংসদ প্রশান্ত প্রধান, সিপিএমের প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালিপদ দাস মহাপাত্র, কৃষকসভার নেতা ভানু পট্টনায়ক প্রমুখ।
|
শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করল স্থানীয় একটি সংগঠন। সোমবার এগরা-২ ব্লকের পানিপারুল পঞ্চায়েতের আড়াঙ্গা গ্রামের একটি সঙ্ঘের উদ্যোগে ক্ষুদিরামের আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মূর্তিদাতা ও আবরণ উন্মোচক হিসাবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী প্রবোধচন্দ্র সিংহ। সঙ্ঘের পক্ষ থেকে বহু দুঃস্থ মানুষকে কম্বল ও বস্ত্র দেওয়া হয়। |