|
|
|
|
রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রশান্ত ফের পুলিশ হাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
চন্দ্রি অঞ্চলের ধৃত সিপিএম নেতা প্রশান্ত দাসকে ফের দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার প্রশান্তবাবুকে ফের আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্তকে আরও পাঁচ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার মণিময় সিংহ রায় এ দিন আদালতে দাবি করেন, বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় প্রশান্তবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র কোথায় পোঁতা হয়েছে, তা তিনি চিহ্নিত করতে পারেননি। অস্ত্র উদ্ধারের স্বার্থে ধৃতকে ফের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া জরুরি। অভিযুক্তের আইনজীবী সুমন দাস মহাপাত্রের পাল্টা অভিযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহের সাজানো মামলায় প্রশান্তবাবুকে তিন দিন হেফাজতে নিয়েও কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় ধৃতকে ফের দু’দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
গত ২২ নভেম্বর চন্দ্রিতে সিপিএমের মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে গোলমাল বাধে। ওই রাতেই গ্রেফতার হন সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্তবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে হামলা, মারধর, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ২৬ নভেম্বর রাতে প্রশান্তবাবুকে সঙ্গে নিয়েই চন্দ্রির আউসপালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। দাবি করা হয়, একটি পাইপ গান, গুলি ও কিছু মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। এরপরই প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে পৃথক রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু হয়।
এ দিকে, মিথ্যা মামলায় স্বামীকে গ্রেফতারের প্রতিকার চেয়ে প্রশান্তবাবুর স্ত্রী গৌরীদেবী এ দিন রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন গৌরীদেবী। |
|
|
|
|
|