এত দিন ক্রিকেট মাঠে যে কঠিন পেশাদারের মুখোশটা তিনি পরে থাকতেন, তা সরে গিয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। কিছু সময়ের জন্য তিনি যেন ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর শৈশবে। কিছু সময়ের জন্য কঠিন, নির্দয় ক্রীড়াবিদকে সরিয়ে ভেসে উঠেছিল একটা মানবিক দিক।
যখন তিনি রিকি পন্টিং ক্রিকেটকে আজ চিরবিদায় জানালেন।
স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে, শেষ টেস্ট ইনিংসে আট রান করে পিটারসনের বলে আউট পন্টিং। অস্ট্রেলিয়া ৩০৯ রানে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরেই থাকল দক্ষিণ আফ্রিকা। মাইকেল ক্লার্কের দল গুটিয়ে যায় ৩২২ রানে। |
স্কোরবোর্ডে কিন্তু লেখা থাকবে না, কী ভাবে স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মার সঙ্গে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় চোখের জল চেপে রাখতে পারছিলেন না পান্টার। “অনেক ছোটবেলায় বাবা-মা যদি সুযোগটা না দিত, তা হলে এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না।” বলতে বলতে গলা ধরে আসে। স্বগতোক্তি করেন, “আমার পক্ষে কিছু বলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।” ক্রিকেট জীবনের শুরুতে কিছুটা ব্যর্থতা এবং বিতর্ক তাড়া করে বেরিয়েছে পন্টিংকে। কিন্তু এক বার সেই পর্বটা পার করে আসার পর ক্রিকেট দেবতা তাঁকে শুধু দু’হাত ভরে দিয়েই গিয়েছেন। ১৬৮ টেস্টে ১৩,৩৭৮ রান (বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ), ৪১টা সেঞ্চুরি। গড় প্রায় ৫২। এর সঙ্গে যোগ করুন এক দিনের ক্রিকেটে ১৩ হাজার সাতশোর উপর রান আর ৩০টা সেঞ্চুরি। সঙ্গে ঝুলিতে তিনটে বিশ্বকাপ, যার মধ্যে দুটো এসেছে তাঁরই নেতৃত্বে। |