সিঁড়ির একাংশ ভেঙে সমস্যা খানাকুল ১ ব্লক কৃষি দফতরে
সিঁড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় সোমবার থেকে খানাকুল-১ ব্লক কৃষি দফতরে পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন কর্মীরা। ঘটনার কথা জানানো হয়েছে বিডিওকে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে দফতরের পিছন দিকে একটি বাঁশের মই লাগিয়ে আপাতত কাজ চালানো হচ্ছে।
ব্লক কৃষি আধিকারিক হরষিত মজুমদার বলেন, “অফিসের ঘরের ছাদগুলি ভেঙে পড়ছে। বিডিওকে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি আমাদের ওই অফিসেরই একতলার গুদামে গুরুত্বপূর্ণ মালপত্র সরিয়ে বসতে বলেন। কিন্তু তা সম্ভব নয়।” বিডিও গোবিন্দ হালদার বলেন, “আমি ঘর কোথায় পাব যে ওঁদের দেব। ওঁদের নিজেদের ঘর পরিষ্কার করে বসতে বলেছিলাম।”
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোতলা অফিস-ঘরটি প্রায় ২৫ বছর আগে ভাড়া নেয় কৃষি দফতর। তার পর থেকে এক বারও বাড়ির মালিক তা সংস্কার করেননি বলে অভিযোগ। বছর খানেক ধরে খসে পড়ছে বিভিন্ন ঘরের চাঙড়। বর্ষায় জল চুঁইয়ে পড়ে। গুদাম-ঘরেও সার-বীজ-সহ বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম বেশি দিন থাকলে নষ্ট হওয়ার নজিরও রয়েছে। অফিসের কর্মী বলতে ব্লক কৃষি আধিকারিক, প্রধান করণিক এবং ৫ জন কৃষি-প্রযুক্তি সহায়ক। গত সোমবার অফিসের সিঁড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। কোনও মতে প্রাণে রক্ষা পান কৃষি আধিকারিক। দিন কয়েকের জন্য কার্যালয়টি বন্ধও হয়ে যায়। সে সময়ে হরষিতবাবু সহকর্মীদের নিয়ে দফতরের কাছে একটি বটগাছের তলায় চেয়ার পেতে বসে চাষিদের শুধু প্রয়োজনীয় কৃষি-সংক্রান্ত পরামর্শটুকু দিচ্ছিলেন।
এখনও চাষিদের মই বেয়ে দফতরে উঠতে দেওয়া হচ্ছে হচ্ছে না। সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান কর্মীরা। পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি আছে চাষিদের তরফেও।
আরামবাগ মহকুমা কৃষি আধিকারিক অশ্বিনী কুম্ভকার বলেন, “স্থায়ী সমাধানের জন্য আগের বিডিও ব্লক অফিস চত্বরেই কৃষি দফতরের ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আপাতত পুরনো ভাড়া নেওয়া অফিসটি সংস্কারের জন্য বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। চাষিদের পরিষেবার ক্ষেত্রে অসুবিধাগুলি কাটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ওই বাড়ির মালিকেরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ভাড়া বাড়ানো হলে তবেই সংস্কার করা হবে। বাড়িটির অন্যতম মালিক মোজাফ্ফর হোসেন জমাদার বলেন, “মাসে ৩৩০ টাকা ভাড়া পাই। কৃষি দফতরকে একাধিকবার ভাড়া বাড়াতে বলেছি। তবেই বাড়ি সংস্কার করা হবে। ওরা নিজেদের তহবিল থেকে সংস্কার করতে চাইলেও আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.