স্কুল অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে জেলায় তিনটি স্কুলে জয়ী হল বামপন্থী প্রগতিশীল প্রার্থীরা। রবিবার হওয়া ৬টি স্কুলের নির্বাচনে তিনটির মধ্যে দু’টি স্কুলে বামেরা ৬-০ ব্যবধানে জিতেছে। যার মধ্যে দু’টি আবার নলহাটি বিধানসভা এলাকার। সাম্প্রতিক কালে এই এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুল, সমবায় ও হিমঘরে জয়ী হয়েছে বামপ্রার্থীরা। আসন্ন নলহাটি বিধানসভার উপ নির্বাচনের আগে এই জয় বাম নেতাকর্মীদের আরও আশাবাদী করবে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
রবিবার নলহাটি বিধানসভা এলাকার দু’টি স্কুলে জয়ী হয়েছেন বামপ্রার্থীরা। যার মধ্যে নলহাটি থানার কুরুমগ্রাম মিত্রভূম হাইস্কুলে বামপন্থীরা ৫-১ ও মুরারই থানার চৈতি-ভাদিষ্ঠা হাইস্কুলে ৬-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। অন্য দিকে, একই ব্যবধানে মল্লারপুরের ধরণী দেবেন শিক্ষা নিকেতনেও জয়ী হয়েছেন তাঁরাই। অন্য তিনটি স্কুল ভোটের দু’টিতে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা ও একটিতে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। ইলামবাজার থানার পয়রা হাইস্কুলে তৃণমূলের পক্ষে ফল ৬-০। রামপুরহাটের হাজি মৌলা বক্স হাইস্কুলে ৬-০ ও সাঁইথিয়ার বিলসা হাইস্কুলে ৫-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। তিনটি স্কুলেই বিজিতরা পরিচালন সমিতিতে পুলনায় জয়লাভ করেছেন। অন্য দিকে, চৈতি-ভাদিষ্ঠা হাইস্কুলের পরিচালন ভার কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল বামপ্রার্থীরা।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ওঝা দু’জনেই জানিয়েছেন, দলের তরফে এই ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা হবে। অন্য দিকে, বামপন্থীদের এই জয়ের প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের নলহাটি জোনাল কমিটির সম্পাদক সনৎ প্রামাণিক ও ফরওয়ার্ড ব্লক দলের জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশিদিন নিজের পাশে রাখা যায় না। রাজ্যবাসীর কাছে তৃণমূলের মুখোশ খুলে গিয়েছে। মানুষ এখন বামপন্থীদের পক্ষেই ভোট দিচ্ছেন।” |