বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পার্ট-১ অনার্স ও পাশ পাঠ্যক্রমের ফল প্রকাশ হল সোমবার। দু’টি ক্ষেত্রেই উত্তীর্ণের হার গত বারের তুলনায় কমেছে। পরীক্ষা নিয়ামক ও কলেজসমূহের পরিদর্শক এ জন্য কলেজগুলির উপর বাড়তি ছাত্র ভর্তির চাপ ও পরিকাঠামোগত দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন।
এ বার বিএ পার্ট-১ অনার্সে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া ও পাশের পাঠ্যক্রমে ৬৩ শতাংশ পড়ুয়া অনুত্তীর্ণ। ২৮৭৫০ জন অনার্স নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ১৫৪৭৩ জন। পাশের হার ৫৩.৮২ শতাংশ। গত বার এই হার ছিল ৫৫.৫৬ শতাংশ। পাশ কোর্সে এ বার পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৬১৬৯০ জন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ২৩১৫৩ জন। গত বছর পাশের হার ছিল ৪০.৫৯ শতাংশ। এ বার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৫৩ শতাংশে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, কলেজগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করা হচ্ছে বলে ফল খারাপ হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এমনও কলেজ রয়েছে যেখানে মাত্র ৮০ জন ছাত্রের পড়াশোনা সম্ভব। অথচ সেখানে প্রায় ৩০০ পড়ুয়া ভর্তি করানো হয়েছে। তাতে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অনেক কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষক দিয়েই কাজ চলছে। শিক্ষকদের অবসরের পর শূন্যস্থানে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজার বক্তব্য, “প্রতি বছরই কলেজের আসন বাড়াতে হচ্ছে। প্রথমে কলেজের ‘ইনটেক কমিটি’র সিদ্ধান্ত মেনে আসন বাড়াতে হচ্ছে। পরে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে ফের এক দফা আসন বাড়াতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সব ছাত্রকে অন্তত কলেজের পাশ পাঠ্যক্রমে ভর্তির সুযোগ দেওয়া যায়। এ দিকে নজর দিতে গিয়ে কলেজের পরিকাঠামোর উপর খুব চাপ পড়ছে।” |