অনেক বাতিস্তম্ভের নীচের বাক্স থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করেছিল চোরেরা। তার জেরেই নেমে এসেছিল আঁধার। কালনার বেশ কিছু এলাকায় লাগানো ত্রিফলা বাতি সারানোর পরে এমনই দাবি করল পুর কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ন’মাস আগে কালনা শহরের ১০৮ শিবমন্দির, মহাপ্রভু পাড়া, ফটকদ্বার-সহ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় লাগানো হয়েছিল ৫২টি ত্রিফলা বাতি। ঠিকাদারের মাধ্যমে এই বাতিস্তম্ভ লাগিয়েছিল পুর বাস্তুকারের দফতর। পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, এ জন্য খরচ হয়েছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। যে সব এলাকায় ত্রিফলা আলো লাগানো হয়, সেখানকার রাস্তা থেকে অন্য আলো খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে বিপত্তি শুরু হয়। এক এক করে ত্রিফলা বাতি নিভতে শুরু করে। অনেক জায়গায় বাতিস্তম্ভও ভেঙে পড়ে। অন্ধকার নেমে আসে রাস্তায়। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথমে কিছু দিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করলেও পরের দিকে আর তা করেননি ঠিকা সংস্থার লোকজন। দুর্ভোগে পড়েন পথচলতি মানুষ। আনন্দবাজার পত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই তৎপর হয় প্রশাসন। ঠিকা সংস্থাকে শীঘ্র সমস্ত বাতি সারানোর ব্যাপারে উদ্যোগের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পুর বাস্তুকারের দফতরের প্রতিনিধিরাও কালনায় এসে পুরসভাকে ত্রিফলা বাতির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়ে যান।
কালনার পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের নীচে রয়েছে একটি বাক্স। সেখান থেকে চোরেরা যন্ত্রাংশ চুরি করার ফলেই অনেক আলো অকেজো হয়ে পড়েছিল। পুর বাস্তুকারের দফতরের তরফে ঠিকা সংস্থাকে ওই বাক্সের মুখ শক্ত নাট দিয়ে বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরকর্মীদেরও বাতিস্তম্ভের খুঁটিনাটি বিষয় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।” |