মোটরবাইক থেকে চার চাকার গাড়ি, যত্রতত্র দাঁড় করানো আসানসোল আদালত চত্বরে। পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় যানজটে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষেরা। ঘটছে গাড়ি চুরির ঘটনাও। কাহিল সাধারণ মানুষ তাই দাবি তুলেছেন একটি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত ‘পার্কিং’ ব্যবস্থার।
শহর হিসেবে আসানসোলের গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে আদালতেরও। পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এজলাসের সংখ্যাও। এই চত্বরেই রয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়, প্রশাসনিক ভবন, পরিবহন দফতর-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত এই দফতরগুলিতে। কিন্তু উপযুক্ত ‘পার্কিং’-য়ের ব্যবস্থা না থাকায় গাড়ির ভিড়ে বিপর্যস্ত রাস্তাটি। |
শুধু তাই নয়, ধার দিয়ে চা-ঠাণ্ডা পানীয়ের দোকান বা ভাতের হোটেলের ভিড়ে সরু রাস্তাটিতে যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। বাড়ছে দু’চাকার গাড়ি চুরির ঘটনাও। সম্প্রতি মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে দু’টি মোটরবাইক চুরির পরই আদালত চত্বরে বৈধ পার্কিং ব্যবস্থা চালুর জন্য সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবীরা। আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও আগে একাধিকবার পার্কিং ব্যবস্থা গড়ার জন্য দাবি করা হয়েছিল। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বানি মণ্ডলের খেদ, “বারবার জানালেও এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি।” তাঁর মতে, পরিকল্পনা করে এগোলেই পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা সম্ভব। প্রাক্তন সরকারি আইনজীবী সুব্রত দত্ত অভিযোগ করেন, এর ফলে আইনজীবীদের পক্ষে আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আসানসোল আদালত চত্বরে পার্কিং সমস্যার কথা জানা আছে আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষের। আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। ‘পার্কিং’-য়ের জন্য জমি মাপজোক করা হয়েছে। কিছু প্রশাসনিক পদক্ষেপ বাকি। দ্রুত মেটানো হবে।” সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরী। |