বীরভূম জেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম হেতমপুর। এই গ্রামে রয়েছেমহারাজ রামরঞ্জন চক্রবর্তীর স্থাপিত হাজারদুয়ারি প্যালেস। এক সময় সাধু, গুরু বৈষ্ণবের চরণ ধূলিতে পবিত্র হয়েছিল এই রাঙামাটি। গ্রামে রাজাদের নির্মিত বহু শিবমন্দির আছে। মহারাজা রামরঞ্জন চক্রবর্তীর পিতা বাবু কৃষ্ণচন্দ্র চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত চন্দ্রনাথ শিবমন্দির (১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) আজও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মন্দিরগাত্রের মৃৎফলকে হিন্দু পৌরাণিক ও সামাজিক দৃশ্যাবলি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে মন্দির গাত্রে উৎকীর্ণ লেখাও।
“স্থাপিত শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র খুদে করে।
চন্দ্রনাথ শিবাচন্দ্র হরে মেঘনী চন্দ্র শেখর-র”
পুবদুয়ারি আট কোনাকৃতি মন্দিরের গায়ে গণেশজননী জগদ্ধাত্রী স্নানরতা রমণী, গজলক্ষ্মী প্রভৃতির চিত্র সংবলিত আছে। মন্দিরের অদূরে দেওয়ানজির শিব, তাঁর একাংশে আর একটি মন্দির আছে। দু’টি মন্দিরই রাজ্য সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত। লালদিঘির দক্ষিণে বাঁধাঘাটের উপর ৫টি শিবমন্দিরের জীর্ণ অবস্থা। চন্দ্রনাথ শিবমন্দিরটিতে আজ থেকে ৪০-৪৫ বৎসর আগে দেখেছিলাম পুরাতত্ত্ব দফতর থেকে একটি গাঢ় নীল রংয়ের সাইন বোর্ড মন্দিরের গেটের বাম দিকে স্থাপন করা হয়েছিল। তার পর দীর্ঘ কাল অতিবাহিত হওয়ার পরও মন্দিরের সংস্কারের কোনও কাজ হয়নি। সবিনয়ে অনুরোধ, চন্দ্রনাথ শিবমন্দিরটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। মন্দিরের গঠনশৈলীকে অবিকৃত রেখে সুন্দর ভাবে মেরামত করা হলে হেতমপুর এক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। চন্দ্রনাথ শিবমন্দিরের ছবি বহুকাল আগে আকাশবাণীর বেতার জগৎ পত্রিকায় প্রচ্ছদ হিসাবে স্থান পেয়েছিল। সেই ফটোগ্রাফটি হেতমপুর রাজবাড়িতে বাঁধানো অবস্থায় আছে। বহু চিত্র পরিচালক এই মন্দিরটির ছবি নিয়ে গিয়েছেন। হেতমপুরের “দেবদেবী” নামে একটি তথ্যচিত্রে দেখেছি গ্রামের সব মন্দিরের ছবি।
পরেশনাথ দত্ত। হেতমপুর রাজবাটি, বীরভূম।
|
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন, ফরাক্কা থেকে কৃষ্ণনগর রেলপথ শীঘ্রই চালু হবে। আমরা ফরাক্কা তথা মুর্শিদাবাদ, মালদার লোকেরা খুবই আশ্বান্বিত হয়েছিলাম। কারণ, রেলপথটি চালু হলে ফরাক্কা থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে কলকাতায় পৌঁছনো যাবে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের আরও একটি রেলপথ সংযোজন হবে। তার পরে অনেক রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হল। গঙ্গা নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেল। কিন্তু আজ পর্যন্ত রেলপথটি চালু হল না। অথচ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভাগীরথী নদীর উপর আজিমগঞ্জ-জিয়াগঞ্জ রেল সংযোগকারী সেতুটি দীর্ঘদিন তৈরি হয়ে পড়ে আছে। দু’পাড়ের রেললাইন পাতার কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। কিন্তু কেন জানি না কোনও এক অজ্ঞাত রাজনৈতিক কারণে রেলপথটি চালু হচ্ছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং বহরমপুরের সাংসদ তথা বর্তমান রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে আমাদের সবিনয় নিবেদন, দক্ষিণের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো উন্নয়নের জন্য সমস্ত বিভেদ ভুলে গিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে বাংলাকে সমৃদ্ধ করে তুলুন। ফরাক্কা-কৃষ্ণনগর রেলপথটি অবিলম্বে চালু করুন।
সুব্রত রায়, মালদা।
|
পথিক গুহর ‘কম্পিউটারের সর্বশেষ স্টেশনের দিশাকে সেলাম’ প্রতিবেদনে ‘সর্বশেষ’ শব্দটি ব্যবহারের প্রতিবাদে এই পত্র। মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। সে-পথের ‘সর্বশেষ স্টেশন’ বলে কোনও স্টেশন কোনওদিন পাওয়া যাবে না। বড়জোর বলা যায়, জ্ঞানবিজ্ঞানের সদা আগুয়ান যাত্রাপথে এ পর্যন্ত জানা শেষ স্টেশন।
অশোকদাস চার্বাক, কলকাতা-৭৮।
|