কেয়ার করি না রাত দশটা মানেই জেন ওয়াই। কেন? উত্তর খুঁজলেন অরিজিৎ চক্রবর্তী
তাদের চরিত্রের রেফারেন্স ‘সপ্তপদী’র কৃষ্ণেন্দু-রীনা।
ধারাবাহিক সেঞ্চুরি করার আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে তাঁদের ফেসবুক ফ্যান ক্লাব। সাড়ে চার মাসে হাজার পাঁচেক ‘লাইক’।
শুধু তাদের জন্যই গোগ্রাসে সিরিয়াল গিলছে জেন ওয়াই। রাত দশটা মানেই এখন ‘কেয়ার করি না’। যদিও এ সব কিছুই খুব একটা ‘কেয়ার’ করেন না ওঁরা। একজন পড়ে সেন্ট জেভিয়ার্সে। মাস কমিউনিকেশনে তৃতীয় বর্ষ। অন্য জনের ক্লাস টুয়েলভ। ওরা ফারহান ইমরোজ আর মধুমিতা সরকার। ‘কেয়ার করি না’ ধারাবাহিকের কৃষ্ণেন্দু আর জাহ্নবী। কথা হল তারাতলার ব্রেসব্রিজের স্টুডিওয়।
মধুমিতা, এই মুহূর্তে তোমার ফেসবুক স্ট্যাটাসটা কী? মধুমিতা: কীসের?
রিলেশনশিপের। মধুমিতা: সিঙ্গল।
সে কি! কিছু দিন আগেও তো ‘এনগেজড’ লেখা দেখলাম? মধুমিতা: (হেসে) এত লোকে এত উল্টোপাল্টা প্রোপোজ করত, বিরক্ত হয়ে ‘এনগেজড’ লিখে রেখেছিলাম।
এটা তোমার দ্বিতীয় কাজ, তাই না? মধুমিতা: হ্যাঁ, আগে সানন্দা টিভির ‘সবিনয় নিবেদন’য়ে অভিনয় করেছি। তার আগে মডেলিংও করেছি।
ফারহান
মধুমিতা
ফারহান, তোমার শুরুও তো মডেলিং দিয়েই? ফারহান: মডেলিং করেছি। তার পর মৈনাকদাকে (মৈনাক ভৌমিক) ‘বেডরুম’ সিনেমায় অ্যাসিস্ট করেছি। ডকুমেন্টারি বানিয়েছি। মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল আমাকে টিভিতে দেখার।
এত জনপ্রিয়তা সামলাও কী করে? বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে পারো? ফারহান: না, সেটা ফসিল। কোথাও গেলে লোকে চিনে ফেলে, ছবি তুলতে চায়। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালও এ বারই প্রথম মিস করলাম। তবে জনপ্রিয়তাটা কিন্তু এনজয়ও করি। মধুমিতা: একেবারে তাই। আমি অনেক ছোট থেকে টিভির সঙ্গে যুক্ত। শ্যুটিংয়ের সবাই তাই বন্ধু। এখানেই কেটে যায় দিনের আঠেরো ঘণ্টা।
বন্ধুরা কার্টুন বলে ডাকে কেন? মধুমিতা: এ বাবা, এটাও ফাঁস হয়ে গেল! (হেসে) মনে হয় আমি খুব কথা বলি বলে। ফারহান: শুধু তাই! সব সময় মোশনে থাকে। অ্যানিমেটেড ক্যারেকটার।
আচ্ছা তোমাদের চরিত্র দু’টো তো ‘সপ্তপদী’র রেফারেন্সে তৈরি। সেটা নিয়ে একটা চাপ থাকে না? ফারহান: সিনেমাটার সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিকের কোনও তুলনাই চলে না। ওটা লেজেন্ডারি। মধুমিতা: কোনও ক্লু নেই, কী করব। অবশ্য তা নিয়ে কেয়ারও করি না।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.