পুরসভা গড়ার দাবি নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
ঘোষণার পরে আড়াই বছর কেটে গেলেও চাঁচলে পুরসভা গঠন না হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। মহকুমা সদরকে পুরসভা করার ক্ষেত্রে প্রথমে বাম সরকার ও পরে তৃণমূল সরকারের উদাসীনতাকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। তৃণমূল উদাসীনতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “রাজ্য সরকার বসে নেই। চাঁচলে পুরসভা গড়ার কাজ এগিয়েছে। পুরসভা করতে হলে কিছু পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেই কাজ চলছে।” ২০০১ সালে চাঁচল মহকুমা হয়। তারপরে বাসিন্দাদের দাবি মেনে ২০০৫ সালে মহকুমা সদরকে পুরসভা গঠনে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। বাসিন্দাদের বক্তব্য ছিল, মহকুমা সদর পঞ্চায়েতের অধীনে থাকতে পারে না। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে চাঁচল পুরসভা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়। প্রস্তাবিত পুরসভার মৌজা, জন-সংখ্যা, কত কৃষিজীবী ও চাকুরিজীবী সবই জানানো হয়েছে। চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “পুরসভা সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা যখন হয়েছে পুরসভা নিশ্চয়ই হবে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে হবে কিনা বলা সম্ভব নয়।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও এলাকা পুরসভা ঘোষণার জন্য ২০ হাজার জনসংখ্যা থাকা দরকার। প্রস্তাবিত চাঁচল পুরসভা এলাকায় রয়েছে ১০টি মৌজা। যার মধ্যে চাঁচল গ্রাম পঞ্চাায়েতে ৬টি, কলিগ্রাম ও ভাকরি পঞ্চায়েতের দুটি করে ৪টি মৌজা। জনসংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ২০০৫ সালে চাঁচলকে পুরসভা করতে উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। ২০১০ সালের ১৬ জুলাই রাজ্যের কিছু এলাকার সঙ্গে চাঁচলকে পুরসভা করা হল বলে ঘোষণা হয়। সেই সময় অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। চাঁচল ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “প্রথমে বামেদের ও এখন তৃণমূলের জন্য উন্নয়ন হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের পক্ষে মহকুমা সদরে পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব।” |
ফেরার পথে মৃত্যু চার শ্মশানযাত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
সৎকার সেরে ফেরার পথে মিনি ট্রাক উল্টে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ মালদহের ঘোষপাড়া মোড়ের কাছে মালদহ-বুলবুলচন্ডী রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম হন ৪২ জন। তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে বামনগোলার মালিপাড়ায় শোকের ছায়া নামে। মৃতদের নাম, রঞ্জন মণ্ডল (২৬), ছবিলাল মুর্মু (৩৮), দুলাল মণ্ডল (৩৪), তাপস মণ্ডল (২২)। মিনি ট্রাকের চালক পলাতক। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “এই ট্রাকচালককে ধরার জন্য পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। রাস্তায় বাঁকে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।” দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জখমদের দেখতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। জখমদের দ্রুত চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে মালিপাড়ায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ কার্তিক মণ্ডল বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তাঁর দেহ নিয়ে শ’দেড়েক লোক ৩টি গাড়িতে করে মালদহের সাদুল্লাপুর শ্মশানে যান। রাত ১২টা নাগাদ সৎকার করে ৩টি গাড়িতে সবাই ফিরছিলেন। পিছনের ছোট মিনি ট্রাকে ৪৭ জন ছিলেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মৃদুল মণ্ডল জানান, “ট্রাকের চালক মদ খেয়েছিল। তা দেখে আমরা বলেছিলাম রাতে আর বাড়ি ফিরব না। সকাল হলে বাড়ি ফিরব। কিন্তু চালক জোর করে বাড়ি ফেরার জন্য চাপ দিতে সবাই গাড়িতে উঠে বসে। গাড়ি ছাড়ার পরই প্রচণ্ড গতিতে চলছিল। একটি বাঁকের কাছে গাড়িটি উল্টে যায়। আমরা রাস্তার চারদিকে ছিটকে পড়ি। আর কিছু মনে নেই।” ঘটনাস্থলেই ছবিলাল মুর্মুর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা যান আরও ৩ জন। |
রায়গঞ্জে তৃণমূলের সভায় মাঠ ভরল না
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি রায়গঞ্জে ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের নিয়ে সভা করেও মাঠ ভরাতে পারল না তৃণমূল। দীপার ‘খাসতালুকে’ এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল হওয়ার প্রশ্নেও কার্যত মুখ খুললেন না তৃণমূল নেতারা। বুধবার রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব মাঠে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সূচনায় জনসভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের ছয় মন্ত্রী। পঞ্চায়েতের আগে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি রায়গঞ্জে ‘শক্তি প্রদর্শনের’ নিরিখেও তৃণমূলের এই সভার গুরুত্ব ছিল। তবে জনসমাগম বিশেষ হয়নি। সভায় লোক হয়েছিল আট-ন’হাজারের মতো। মাঠের একাংশ ছিল ফাঁকা। জেলা তৃণমূল সভাপতি অবশ্য লোক কম আসার কথা স্বীকার করেছেন। |
বিবাদে যুবক খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
ধান খেতে গরু ঢোকা নিয়ে বিবাদে এক যুবককে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিনহাটার চান্দেরকুঠিতে। মৃতের নাম হাসান আলি (৩০)। |
এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় দেহটি পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম হরিকুমার দাস (৩০)। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির স্ত্রী মারা যান। তাই তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। |