নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ফের শতাব্দী এক্সপ্রেস প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরি করে রওনা হওয়ায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। রেল পুলিশ ফোর্সের জওয়ানরা যাত্রীদের সরিয়ে দেন। পরে ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ ট্রেন হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে অভিযোগ গিয়েছে। তাঁর নির্দেশে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত হাজং বলেন, “খুব ভোরে ট্রেনটি ছাড়ে বলে যাত্রীদের কিছু সমস্যার কথা জানা গিয়েছে। সময়সীমা পরিবর্তনের বিষয়টি সমীক্ষা করা হচ্ছে।” যাত্রীদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে সময় না মেনে চলাচল করছে। |
প্রায় প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা দেরিতে চলাচল করছে। সম্প্রতি ট্রেন দেরি করে রওনা হওয়ায় শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের একাংশ রেলের পাঁচজন কর্মীকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ । তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান রেলের কর্মীরা। এদিন সকাল সাড়ে ৫টায় এনজেপি থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। সেখানে ৮টার সময় ট্রেন রওনা হবে বলে রেল কর্মীরা জানান। কিন্তু ওই সময় পার হয়ে গেলে নতুন করে কিছু জানানো হয়নি। যাত্রীদের একাংশ তা জানতে স্টেশন ম্যানেজারের অফিসে ঢুকলে আরপিএফ লাঠি তুলে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী। এনজেপির স্টেশন ম্যানেজার উজ্জ্বল নাগ বলেন, “যান্ত্রিক সমস্যার জন্য ট্রেন লাইনে আনতে দেরি হয়েছে।” রেলের কর্মীরা অবশ্য জানিয়েছেন, ট্রেনটি চালানোর কোনও পরিকাঠামো এনজেপিতে নেই। একটি ‘রেক’ এনজেপি-হাওড়া চলাচল করে। ফলে সেটি বিশ্রাম পায় না। স্বাভাবিক ভাবেই ওই ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি রেলের কাটিহার ডিভিশনের অফিসাররা এনজেপিতে বৈঠক করেন। তাঁরা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেন। |