মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরুলিয়া সফরের আগে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর নিবার্চনী কেন্দ্র বলরামপুরে বন্ধের ডাক দিল কংগ্রেস। আজ, বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার ওই বন্ধ ডাকা হয়েছে। আর এই বন্ধ ঘিরে এলাকার রাজনৈতিক উত্তেজনার পারা চড়ছে।
প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা, অযোধ্যা লাগোয়া এলাকায় গাছ কেটে পাচার ঠেকানো, সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো, বলরামপুরের বাঁশগড় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইসিজি মেশিন, এক্স-রে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা-সহ ১০ দফা দাবি করেছে কংগ্রেস। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ দাস বলেন, “মানুষ অনেক আশা করেছিল। আমরা এই সব দাবিতে প্রশাসনকে আগে স্মারকলিপি দিয়েছি। কোনও কাজ না হওয়ায় বন্ধ ডেকেছি।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পুরুলিয়া আসার কথা ২ ডিসেম্বর রাতে বা ৩ তারিখ সকালে। তার আগে বন্ধ সফল করতে বলরামপুরে টানা প্রচার করছে কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে বন্ধ ব্যর্থ করার পাল্টা আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় চকবাজার মোড়ে তৃণমূলও সভা করে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলেন, “অনেক দিন পরে বলরামপুর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল। অতীতে মাওবাদীদের ডাকা বন্ধও বলরামপুর প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ বন্ধে এখানকার অর্থনীতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কংগ্রেস বন্ধ ডেকে ফের সেই অবস্থাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তবে মানুষ এই বন্ধ প্রত্যাখ্যান করবেন।” সুভাষবাবুর পাল্টা বক্তব্য, “এই বন্ধ বলরামপুরের উন্নয়নের জন্য। গাছ কেটে পাচার বা দরিদ্র মানুষের চাল বিলি নিয়ে দুর্নীতি তো তৃণমূল নেতাদের একাংশের মদতেই হচ্ছে। তদন্ত হোক, এই আমাদের দাবি।”
বলরামপুরের বিডিও সন্তোষ কুমার বলেন, “ওঁরা চাল বিলি নিয়ে দুর্নীতির কথা বলছেন। আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে বললেও ওঁরা দেননি।” তিনি জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন। বিদ্যুৎ পৌঁছনো নিয়ে কিছু জায়গায় স্থানীয় সমস্যা আছে।
বিডিও-র কথায়, “একটি রাস্তার সমস্যার কথাও কংগ্রেস বলেছে। ওই রাস্তায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবু আমরা বলেছি উন্নয়ন সংক্রান্ত দাবি থাকলে আলোচনা হতেই পারে।” |