পুলিশও পেটালেন তেহট্টের এসডিপিও
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তেহট্রের মহকুমা পুলিশ অফিসার শৈলেশ শাহের।
দিনকয়েক আগে তেহট্টের হাউলিয়া মোড়ে অবরোধকারীদের হটাতে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে ছিলেন ওই পুলিশ কর্তা। মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় এক গ্রামবাসীর। গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকারও করেছিলেন শৈলেশ। তাঁকে সাময়িক ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল জেলা সদর, কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে।
এ বার সেখানেই এক পুলিকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে পুলিশ গেস্ট হাউসে এএসআই কিশোর দে’কে বুকে ও পিঠে লাথি মারেন তিনি। কিশোরবাবুর স্ত্রী চন্দ্রিমাদেবী, বুধবার এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্রের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য: “তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার পর চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি ওই পুলিশ কর্তার সঙ্গে। আহত কিশোরবাবু আপাতত জেলা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসডিপিও শৈলেশ শাহ এএসআই কিশোর দে
এ দিন পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জমা দিয়ে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “কোনও কারণই ছিল না। আচমকাই আমার স্বামীর উপরে চড়াও হয়ে কিল-চড়-লাথি মারতে থাকেন ওই পুলিশ কর্তা। তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। আমি এই অত্যাচারের সুবিচার চাই।”
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত ওই পুলিশকর্মীও এ দিন বলেন, “ওই দিন সকালে এসডিপিও আমাকে ডেকে পাঠান। উত্তেজিত হয়ে তিনি জানতে চান সকাল থেকে আমি কী কাজ করেছি। আমি ভাল হিন্দি জানি না। তাই চুপ করে ছিলাম। হঠাৎই তিনি চড় মারেন। তার পর, লাথি মারতে শুরু করেন। হুমকি দেন, ‘তেহট্টে গুলি চালিয়েছি। তোকেও গুলি করে মারব।’ ওই ঘটনা কাউকে জানালে চাকরি থেকে বরখাস্তও করে দেবেন বলে শাসান।”
জেলার পুলিশকর্মীরা ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তাঁদেরই এক জন বলেন, “ওই এসডিপিও সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন। সেই মিলিটারি মেজাজ এখনও রয়ে গিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.