টুকরো খবর
হলদিয়ায় দোকানে চুরি, হাতাহাতি
মুদি দোকান থেকে ৩০টিন সর্ষের তেল চুরির অভিযোগ ঘিরে মার্কেট কমপ্লেক্স কমিটির সঙ্গে গোলমাল বাধল স্থানীয় ক্লাবের। হল হাতাহাতি। মঙ্গলবার চিরঞ্জীবপুরের ওই ঘটনার জেরে মার্কেটের কমিটির সদস্য পাশের মোবাইল দোকানের মালিক দিলীপ সামন্তের উপর ‘জাগরণ’ ক্লাবের সদস্যরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বুধবার হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে মার্কেট কমিটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এটি আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের। হলদিয়া পুরভোটের সময় থেকেই তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রসাদ দাসের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে দলেরই কর্মী দিলীপ সামন্তের। ওই ক্লাবেও জ্যোতিপ্রসাদবাবুর ছেলে বাপ্পাদিত্যর প্রভাব রয়েছে। সেই জন্য ক্লাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে দিলীপবাবুর। সেই কোন্দল থেকেই মঙ্গলবারের গোলমাল বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানি বলেন, “পুরভোটের সময় থেকে বাপ্পা ও দিলীপের মধ্যে একটা বিরোধ রয়েছে। সে জন্যই চুরির ঘটনা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েছে।” বাপ্পাদিত্য ও দিলীপবাবু অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন। তবে বাপ্পাদিত্যের কথায়, “দিলীপ আমাদের দলেরই কর্মী। তবে সিপিএম থেকে এসেছেন।” ক্লাব সম্পাদক শঙ্কর সাহুর বক্তব্য, “আমরা নিরপেক্ষ ভাবে ক্লাব পরিচালনা করি। তবে দিলীপ সামন্ত মাঝে মধ্যেই আমাদের হুমকি দেন। এর কারন জানতে দোকানে গেলে উনি আমাদের মারধর করেন। যদিও দিলীপবাবুর দাবি, “আমি বরাবর ডানপন্থী। কে কোত্থেকে এসেছে সবাই জানে। চোর খুঁজে বের করতে বলায় ক্লাবের ছেলেরা আমাকে দোকানে এসে মেরে গিয়েছে।” পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।

ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব
ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ানের অনুগামীদের মধ্যে গণ্ডগোল হল। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে মারধরের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা নিয়ে এই গণ্ডগোল। ওই সময় আবু তাহেরের লোকেরা সুফিয়ানকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এ দিন রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সুফিয়ানের অনুগামীরা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রাম বাজার সংলগ্ন বড়তলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শেখ ওবাইদুল ইসলামের ভাই শেখ বাপিকে মারধরের ঘটনায় শেখ খোকন নামে সুফিয়ানের এক অনুগামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এ দিন শেখ খোকনের মোটর সাইকেলে চেপে ফিরছিলেন শেখ সুফিয়ান। অভিযোগ, নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁদের থামিয়ে শেখ খোকনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আবু তাহেরের লোকজন। সেই সময় সুফিয়ানকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে সুফিয়ানের অনুগামীরা বাসস্ট্যান্ডে চলে আসেন। জড়ো হন তাহেরের লোকেরাও। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাধার উপক্রম হয়। তবে, দ্রুত পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে চলে আসায় বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি। সুফিয়ানের অভিযোগ, “আমি কর্মিসভা থেকে ফিরছিলাম। তাহেরের অনুগামীরা হেনস্থা করেন।” তাহের অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “খোকনের নামে থানায় অভিযোগ ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সেই সময় কিছু লোক বাধা দেয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই।”

ময়নায় ভিড় রাসমেলায়
ময়নায় জমে উঠেছে রাসমেলা।রাসমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল বুধবার সন্ধ্যায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন প্রমুখ। সন্ধ্যায় ময়নাগড়ের পরিখার জলে রাজপরিবাররে কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জীউ-র বর্ণাঢ্য নৌকাযাত্রা দেখতে ভিড় জমে ওঠে। আলোকসজ্জিত নৌকায় শ্যামসুন্দর জীউকে চাপিয়ে আতসবাজি, ফানুস ওড়ানো, বাজনা-সহ গড়ের পরিখায় এই নৌ-রাসযাত্রা চলে। ময়না রাজপরিবারের সদস্য প্রণব বাহুবলীন্দ্র জানান, “রাসযাত্রার সময় কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জীউকে প্রতিদিন ভোরে নৌকা চাপিয়ে ময়নাগড়ের রাসমঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বিকেলে সূর্যাস্তের আগে ফের নৌকা করে মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়।” রাসযাত্রা ঘিরে ময়নাগড়ে জমজমাট মেলাও বসেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে কুটিরশিল্পীদের তৈরি গৃহস্থালীর সামগ্রী ছাড়াও ময়নার বিখ্যাত মিষ্টি কদমা, বৃহৎ আকারের বাতাসা কেনার জন্য ভিড় জমেছে। মেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে যাত্রা, লোকগান-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গত চার বছর ধরে এই রাসমেলার আয়োজনের দ্বায়িত্বে ছিল ময়না পঞ্চায়েত সমিতি। এ বার আয়োজনের দ্বায়িত্ব নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। ৪৫২ বছরে পা দেওয়া ময়নাগড়ের এই রাসমেলার তথ্য-ছবি সম্বলিত একটি ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন হয়েছে।

হলদিয়ায় দৌড়বিদ বাছাই প্রতিযোগিতা
—নিজস্ব চিত্র।
আন্তঃরাজ্য দৌড় প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে বাংলা থেকে সেরা দৌড়বিদ বাছাই পর্বের আয়োজন করল বেঙ্গল রোড রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিআরআরএ)। বুধবার হলদিয়ায় জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিহারের ছাপরার ৪৬তম ‘ট্রস কান্ট্রি চ্যাম্পিয়নশিপ’ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব ছিল এ দিন। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১৩৮ জন দৌড়বিদ এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেন। হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া থেকে বিভিন্ন ধাপে দৌড় শেষ হয় দূর্গাচক স্টেডিয়ামে। মূলত ৮, ৬ ও ৩ কিলোমিটার দৌড়ে ৪৫ জন মহিলা এবং ১২, ৮ ও ৩ কিলোমিটারে ৯৩ জন পুরুষ যোগ দেন। স্টেডিয়ামেই ৬টি বিভাগে থেকে ৬ জন প্রতিযোগীকে শংসাপত্র দেওয়া হয়। এদের মধ্যেই প্রথম ১৮ জনকে বেছে নেন বিচারকেরা। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি তথা বিআরআরএ-র সভাপতি কে হরিরাজন, জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন, বিআরআরএ-র সাধারণ সম্পাদক হিরালাল মণ্ডল প্রমুখ।

যুব-শিক্ষণ শিবির
বুধবার ‘ঝাড়গ্রাম বিবেকানন্দ যুব পাঠচক্র’-এর উদ্যোগে সারাদিন ধরে এক যুব-শিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওই শিবিরে স্বামীজির আদর্শে ছাত্র-যুবদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ, নৈতিক চরিত্র গঠনের ব্যবহারিক পদ্ধতি, মনের একাগ্রতা বৃদ্ধির উপায়-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামণ্ডলের প্রতিনিধিরা। শিবিরে যোগ দেন জঙ্গলমহলের দেড়শো জন ছাত্র-যুব।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.