|
|
|
|
|
|
|
|
• আমি সরকারি চাকরি করতাম। সবেমাত্র অবসর নিয়েছি। অবসরের সময়ে পিএফ, গ্র্যাচুইটি সমেত প্রায় ২২ লক্ষ টাকা হাতে পেয়েছি। পেনশন ও ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের সুদ থেকে মাসে প্রায় ৩৯,০০০ টাকা আয় হয়। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম যে-হারে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে এই আয় আরও বাড়াতে চাই। খুব চেষ্টা করলে হয়তো এই আয় থেকে মাসে ৮,০০০ টাকা মতো জমাতে পারব। কী ভাবে সেই টাকা ঝুঁকিহীন কোনও খাতে লগ্নি করব এবং ভবিষ্যতে সেখান থেকে নিয়মিত আয় পাব, সে বিষয়ে পরামর্শ চাই। রূপেন্দ্র মোহন মিত্র, নাকতলা
আপনি যদি প্রতি মাসে ৮,০০০ টাকা করে জমিয়ে যেতে পারেন, তা হলে দু’বছরে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা জমবে। তখন ওই টাকা ভাল রিটার্নে লগ্নি করতে আপনার হাতে বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে
(১) ওই টাকা রেকারিং ডিপোজিট হিসেবে দু’বছরের জন্য কোনও ব্যাঙ্কে জমা রাখতে পারেন। প্রবীণ নাগরিক হওয়ার কারণে আপনি সেখানে বেশি সুদও পাবেন। তা ছাড়া, এমনিতেই এই মুহূর্তে ব্যাঙ্কে সুদ বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। আর ব্যাঙ্কে লগ্নিও অন্যান্য খাতের তুলনায় বেশি নিরাপদ। তাই ঝুঁকির বিচারে সেটা আপনার কাছে প্রাধান্য পাওয়া উচিত।
(২) সামান্য ঝুঁকি নিতে রাজি থাকলে, আপনি ওই ৮,০০০ টাকার মধ্যে ৪,০০০ টাকা রাখতে পারেন রেকারিং ডিপোজিটে। আর বাকি ৪,০০০ কোনও ‘ডাইভারসিফায়েড ফান্ড’-এ এসআইপি করতে পারেন। এতে আপনার লগ্নি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যাবে। আবার ঝুঁকির পরিমাণও অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় হবে কম।
এ বার আসি নিয়মিত আয়ের প্রসঙ্গে। দু’বছরে যে-টাকা আপনার কাছে জমবে, সেটাই পরবর্তী কালে এমআইএস-এর মতো ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে লগ্নি করতে পারেন। এখান থেকে আপনি প্রতি মাসে নিয়মিত আয় করতে পারবেন। যা সংসার খরচ সামলানোর কাজে আসবে। মনে রাখবেন, এখানেও কিন্তু আপনি প্রবীণ নাগরিক হওয়ার কারণে বেশি সুদ ঘরে তোলার সুযোগ পাবেন।
জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন। ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না। |
|
|
|
|
|