স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটকে কেন্দ্রে করে বুধবার অশান্তি হল ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার গোগলা আঞ্চলিক গার্লস হাইস্কুলে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। বিকেলে ফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, তিনটি আসনের সব ক’টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের সমর্থকদের তৃণমূল ভোট দিতে বাধা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণ শুরুর পরেই স্কুল চত্বরে তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনের হাতে প্রহৃত হন গোগলা পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দন চক্রবর্তী, ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গৌতম সরকার-সহ কয়েক জন। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মারে জখম হয়ে তাদের কর্মী জিতেন কোড়া কাল্লা হাসপাতালে ভর্তি।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “স্কুল ভোটে হারার ভয়ে ভোট বানচাল করতে সিপিএম এমন অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিবাদ করেন।” সিটু অনুমোদিত ভারতীয় কোলিয়ারি মজদুর সভার সহ-সম্পাদক তথা স্থানীয় সিপিএম নেতা শিশির ঘোষের পাল্টা দাবি, বিপক্ষের ভোটারেরা যাতে বুথমুখো না হতে পারেন, সে জন্য তৃণমূল বাইরে থেকে লোকজন এনে সন্ত্রাস ছড়ায়। তাঁর অভিযোগ, “এলাকার বাকি স্কুলগুলিও একই কায়দায় দখল করেছে তৃণমূল।” পুলিশ জানায়, ফের যাতে অশান্তি না ছড়ায় সে জন্য এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। |