রেলের জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা মার্কেট কমপ্লেক্স ভেঙে জমিটি পূর্বাবস্থায় রেলকে ফেরানোর নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে আসানসোলের ওই কমপ্লেক্স খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন মার্কেট কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডের উল্টো প্রান্তে জি টি রোড ঘেঁষা বিশাল কমপ্লেক্সটির নাম ‘দুর্গা মার্কেট’। সেটি তৈরি হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। পরে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের তরফে অভিযোগ করা হয়, তাদের জমিতে অবৈধ ভাবে এই কমপ্লেক্সটি তৈরি করা হয়েছে। জমি ফেরত পাওয়ার আবেদন জানিয়ে ১৯৯২ সালে আসানসোল আদালতে মামলা করে রেল। বিশ বছর মামলা চলার পরে সোমবার আদালতের সিভিল জজ রেলকে এই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার রায় দেন। |
দুর্গা মার্কেট। —নিজস্ব চিত্র। |
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪৮ সালে তদানীন্তন ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলের তরফে জমিটি আসানসোলের একটি চার্চকে দেওয়া হয়েছিল। শর্ত ছিল, সেটি শিক্ষা বা ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তার বদলে এখন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই রেল এটি ফেরত চেয়ে আদালতে গিয়েছে। সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পঙ্কজকুমার সিংহ বলেন, “জমিটি আমাদের। চার্চকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেখানে অবৈধ মার্কেট কমপ্লেক্স গড়া হয়েছে।”
মার্কেট কমপ্লেক্সের কর্ণধার জগদীশ টেডিয়া অবশ্য বলেন, “আমরা এই রায় মানছি না। আসানসোল আদালতেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছি। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাব।” তাঁর দাবি, চার্চের কাছ থেকে ৯৯৯ বছরের লিজে তাঁরা ওই জমি নিয়েছেন। চার্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই সেখানে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। তাতে অন্তত ৪০টি বড় দোকান আছে। একাধিক রাজ্য সরকারি দফতরও আছে। চার্চের তরফে কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে পঙ্কজবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেই রেল জমির দখল নেবে। |