রবিবার রাত ১ টা থেকে সোমবার ৯টা পর্যন্ত ৯ ঘন্টায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ টি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৪৮ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে ১২টি শিশু। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচ দিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯ টি শিশুর মৃত্যু হল। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী দিল্লি থেকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করে শিশুমৃত্যুর ব্যাপারে বিশদে খোঁজ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে শিশুমৃত্যুর রিপোর্ট তলব করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “গত বছর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে প্রচুর শিশু মারা গিয়েছিল। শিশুমৃত্যু রুখতে রাজ্য সরকার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে এসএনসিইউ ইউনিট ও অতিরিক্ত শিশু চিকিৎসক নিয়োগ করেছিল। তার পরেও কেন শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বুঝতে পারছি না। বিশদ রিপোর্ট চেয়েছি।” পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতির জন্য কেন্দ্র সাহায্য করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের অধ্যক্ষ উচ্ছ্বল ভদ্র দাবি করেছেন, মৃত্যুর হার অস্বাভাকি নয়। তিনি বলেন, “শিশুমৃত্যু নিয়ে এত কেন হইচই হচ্ছে? ৭৫০ বেডের হাসপাতালে ২-৩টি শিশু প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে। এখন শীত পড়েছে ২-৩ দিন হল। ৫-৬ টি করে শিশু মারা যাচ্ছে। শীতে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা তো কিছু বাড়বেই। কম ওজন ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে সদ্যোজাত শিশুগুলি মারা গিয়েছে।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৫০০ শিশু মারা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার প্রতিনিধি মালদহে এসেছিল। এসএনসিইউ ইউনিট ও অতিরিক্ত চিকিৎসক পাঠিয়ে গত বছর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিধান মিশ্র জানান, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, “কী কারণে শিশুমৃত্যু হল তা দেখতে সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠাব।” |