রাস্তা দখল করে পণ্যসামগ্রী রাখার অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন থেকে। কয়েক দফায় বৈঠক, আলোচনার পরেও ফেরেনি হাল। সোমবার সকাল থেকে প্রায় ঘণ্টা তিনেক শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটে পুরসভার চেয়ারম্যান তথা ওই এলাকার কাউন্সিলর নান্টু পাল পুলিশ নিয়ে পণ্যসামগ্রী সরানোর অভিযান চালালেন। কিন্তু নান্টুবাবু চলে যেতেই ফের বিধান মার্কেট ফিরল নিজের চেহারায়। মুরগিহাটি থেকে তুলাপট্টি বা সবজি বাজার সর্বত্রই ফের রাস্তা দখল করে পণ্যসামগ্রী রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নান্টুবাবু অবশ্য বলেন, “রাস্তা দখল করে পণ্যসামগ্রী রাখা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য, নেতারাও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ফের জিনিস রাখা হলে আবার অভিযান হবে।” বিধান মার্কেটের প্রায় সব রাস্তাতেই পণ্যসামগ্রী রাখার অভিযোগ বহুদিন ধরেই উঠে আসছে। অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা তো বটেই যাদের স্থায়ী দোকান ঘর রয়েছে তাঁরাও রাস্তার অনেকটা অংশ দখল করে রাখেন বলে অভিযোগ। |
বিষয়টি নিয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেন। মাইকে প্রচার করে সবাইকে রাস্তা থেকে পণ্যসামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হয়। তাতেও কোনও লাভ না হওয়ায় এ দিন অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সবজি বাজারে ঢুকে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী কাঠামোর টাঙানো প্লাস্টিক খুলতে শুরু করেন পুরসভার কর্মীরা। তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরে নান্টুবাবুর হস্তক্ষেপে প্লাস্টিক উঁচু করে টাঙানোর শর্তে দ্বন্দ্ব মেটে। নান্টুবাবু যেতেই ফের একই ভাবে প্লাস্টিক টাঙানো হয় বলে অভিযোগ। বিধান মার্কেটের সবজি ও ফল ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা বিজন দাস বলেন, “আমরাও স্থায়ী সমাধান চাইছি। নান্টুবাবুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছি। আমরা চেষ্টা করব সবাই যাতে পুরসভার নির্দেশ মেনে রাস্তায় পণ্য না রাখেন।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মেলা মাঠে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার। বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নান্টুবাবু। |