নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ফের রেশন ডিলারদের ভুয়ো কার্ড ফেরত দিতে বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর আগেও তিনি কয়েক বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাতে তেমন কাজ হয়নি। অসাধু ডিলারদের কাছে এখনও প্রচুর ভুয়ো কার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ।
সোমবার বর্ধমানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে ১৪-১৫ লক্ষ জাল রেশন কার্ড ছিল। তার মধ্যে ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার উদ্ধার হয়েছে। বাদ বাকি কিছুতেই উদ্ধার করা যাচ্ছে না। আমরা যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছি। অনেক ডিলারকে হাতে-নাতে ধরেও প্রথম সুযোগে আমি লাইসেন্স বাতিল করিনি। আমি ১৫ দিন অন্তর ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে বৈঠক করি। বারবার অনুরোধ করেছি, জাল কার্ড আমাদের হাতে তুলে দিতে। ওঁরা তা করলে ডিলারদের কমিশন বাড়িয়ে দেবও বলেছি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এ বার কঠোর হতেই হবে।”
খাদ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ, “খাদ্য বাবদ আমরা প্রায় ১২৬০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে চলেছি। তবু শুনি, চালের মান খারাপ। ছত্তীসগঢ় থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকার নিম্নমানের চাল এনে রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল ডিস্ট্রিবিউটর বা ডিলারদের একাংশ। তা আমরা বাতিল করেছি।”
ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক পরেশ হাজরা বলেন, “ভুয়ো কার্ড যদি থেকে থাকে, সেগুলি সৃষ্টি করেছে খাদ্য দফতর। মন্ত্রী চাইলেই আমরা সেগুলি উদ্ধারে সহযোগিতা করতে পারি। কিন্তু শুধু হাওয়ার উপর কথা বলে লাভ কি? মন্ত্রী ব্যবস্থা নিতে দেরি করছেন কেন?” ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিস্ট্রিবিউটর সমিতির রাজ্য সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, “আমাদের কাছে কোনও কার্ড থাকে না।” মন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর হতে গেলে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে। তাঁদের নিয়োগ করবে একটি বিশেষ কমিটি। খাদ্যমন্ত্রী নিজেও তাতে থাকবেন না। গণবণ্টন ব্যবস্থায় ডিলারের কাজে কাজ করার জন্য স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী ও সমবায় সমিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। |