নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর দল লোভীর দল নয়। পার্টির নামে একটা পয়সাও তোলা হয় না। অথচ এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর দলের পদত্যাগ করতে চাওয়া মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য অভিযোগ করলেন, প্রকাশ্যে তোলাবাজি চলছে। আর রাজা জানেন না, এটা হতে পারে না।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় সাম্প্রতিক রদবদলের পরে ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথবাবুর ইস্তফা ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। এ দিন এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন দলীয় নেতৃত্বের। বলেছেন, “আমার নাকের ডগায় তোলাবাজি চলছে। দলের লোকেরাই করছে।” বলেছেন, “রাজা জানেন না, এটা হতে পারে না।” এর পরেই তাঁর মন্তব্য, “বড় বড় বাত ছাড়ব, আর কাজে ঠিক থাকব না!”
কোথায় যাচ্ছে এই টাকা? রবীন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্য, “হয়তো বলছে, আমাকে দিতে হবে না, পার্টি ফান্ডে দিতে হবে।”
গত শনিবার মিলনমেলায় হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধনে মমতা বলেছিলেন, “আমরা লোভীর দল নই। একটা পয়সাও পার্টির নামে তুলি না।” ঘটনাচক্রে সে দিনই ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথবাবুর ক্ষোভ প্রশমনে তাঁর কাছে সাংসদ রত্না দে নাগ এবং সদ্য মন্ত্রী হওয়া বেচারাম মান্নাকে পাঠিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। কিন্তু এ দিনের ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠে গেল, ক্ষোভ কতটা প্রশমিত হয়েছে?
ওই সাক্ষাৎকারেই এক প্রশ্নের জবাবে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মমতা সংগ্রামী, বলিষ্ঠ নেত্রী হতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে আদর্শস্থানীয় নন।”
রবীন্দ্রনাথের এই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার প্রয়াত সিপিএম মন্ত্রী বিনয় চৌধুরীর বিদ্রোহের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে, বলছেন অনেকেই। তিনি অবশ্য মন্ত্রিসভায় থাকাকালীনই মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, “এটা ঠিকাদারদের সরকার।” এই নিয়ে জল অনেক দূর গড়ায়। বিনয়বাবুর সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। পরের নির্বাচনে বিনয়বাবু আর প্রার্থী হতে চাননি। |