আপনার পরিবারের কোনও ছেলে বা মেয়ের কি ভোটাধিকার প্রয়োগের বয়স হয়েছে? ভোটদানের বয়সে পৌঁছনো সত্ত্বেও পরিবারের কোনও তরুণ বা তরুণী কি ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি?
এখন থেকে এর আগাম খবর থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ফলে সময়মতো ভোটার তালিকায় নাম তোলাও অনেক সহজ হবে। যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে কমিশন। বুথ পর্যায়ের অফিসারেরা খসড়া ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘোরা শুরু করে দিয়েছেন।
আগামী তিন বছরের মধ্যে কারা ভোটার হবে, তাদের খুঁজে বার করতে একটি বিশেষ সমীক্ষপত্র তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। কোন বাড়িতে কার বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, তা নথিভুক্ত করার জন্য সমীক্ষাপত্রে জায়গা রাখা হয়েছে। এই সমীক্ষাতেই খুঁজে বার করা হবে সেই সব তরুণ-তরুণীকে, ১৮ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি। ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই তরুণ-তরুণীদের অনীহা রয়েছে। তার কারণ কী, তা-ও জেনে নিতে বলা হয়েছে কমিশনের সমীক্ষকদের।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত বলেন, “আগামী ৫ জানুয়ারি যে-চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা, তাতে কিন্তু ওই তরুণ-তরুণীদের নাম থাকবে না। জানুয়ারির পরে তাঁদের নাম উঠবে ভোটার তালিকায়।” ওই তরুণ-তরুণীরা কেন ঠিক সময়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেননি, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেটাও সমীক্ষকদের জেনে নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
তিন বছরের মধ্যে কারা ভোটার হতে চলেছে, তাদের সংখ্যাটা ঠিক কত হবে, এই সমীক্ষায় তা ধরা পড়বে বলে কমিশনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। তার ফলে আগামী তিন বছরে কখন ভোটারের সংখ্যা কত হবে, তা আগে থেকে জানার সুযোগ থাকবে। সেই অনুসারে প্রয়োজন অনুসারে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ওই তালিকা তৈরি করার জন্য বুথ-ভিত্তিক কর্মীদের বারবার বিভিন্ন বাড়িতে যেতে হবে। কোনও ভোটার এলাকা ছেড়ে চলে গেলে তা-ও জানা যাবে সহজেই। এতে মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াও অনেক ত্রুটিমুক্ত হবে বলে মনে করছেন কমিশনের কর্তারা।
মুখ্য নির্বাচনী অফিসার জানান, চলতি ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় রাজ্যে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য ৩৬ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন। ভুয়ো বলে প্রায় এক লক্ষ নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছে। সাধারণ ভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় রাজ্যে গড়ে ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ নতুন আবেদন জমা পড়ে। এ বার এত বেশি আবেদন এল কী ভাবে? সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই কারণেই এত নতুন আবেদন জমা পড়েছে বলে মনে করছে কমিশন। |