সরকারি ত্রাণের (জি আর) গম সময় মতো উপভোক্তাদের না দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএম পরিচালিত এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের রোল পঞ্চায়েতের ঘটনা। ওই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা জি আর প্রাপক ১৭ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সোমবার এই মর্মে ইন্দাসের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকায় তৃণমূলের রাজনৈতিক গন্ডগোলের জন্যই জি আর বিলি সময়মতো করা যায়নি বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের জন্য সরকারি ত্রাণ হিসাবে প্রতি মাসে বরাদ্দ ৬ কেজি করে বছরে একবার সেই গম (মোট ৭২ কেজি) প্রতিটি পঞ্চায়েত থেকে রেশন ডিলারের মাধ্যমে উপভোক্তাদের দেওয়া হয়। ইন্দাসের রোল পঞ্চায়েত এলাকায় এ বছর সেই গম এখনও বিলি করা হয়নি বলে অভিযোগ। উপভোক্তা রোল গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা বাদলী বাগদি, কাতু পাত্র, রবি রায়দের অভিযোগ, “অত্যন্ত কষ্ট করে আমাদের দিন চলছে। পঞ্চায়েত থেকে সামান্য যে গম পায় তা দিয়ে সারা বছরের খাবার হয় না। তবু সেটা মন্দের ভাল। কিন্তু এ বছর শেষ হতে গেল, আমরা প্রাপ্য গম পায়নি এখনও।” তাঁদের ক্ষোভ, “পঞ্চায়েত প্রধানের গড়িমসির জন্যই আমরা সরকারিভাবে বরাদ্দ গম আজও পেলাম না।” উপভোক্তাদের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক গুরুপদ মেটে। বিধায়কের অভিযোগ, “জি আরের ৩৫ কুইন্টাল ২৮ কেজি গম বিলি না করে আত্মস্বাতের চেষ্টা করছেন রোল পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান। আরও অনেক কাজেই দুর্নীতি ও দলবাজি করছেন প্রধান।”
পঞ্চায়েতের প্রধান, খোন্দেকার রিজিয়া অবশ্য বলেন, “গত জুলাই মাসে জি আরের গম বরাদ্দ হলেও ব্লক অফিস থেকে সেই চিঠি গত শুক্রবার পঞ্চায়েতে এসেছে। এলাকায় তৃণমূলের রাজনৈতিক গণ্ডগোলের জন্যই জি আর এখনও তোলা হয়নি এবং তা বিলিও করা যায়নি।” প্রধানের দাবি, “জি আরের গম আত্মস্বাতের চেষ্টার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রাপকদের জি আরের গম ঠিকই দেওয়া হবে।” সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাস বলেন, “তৃণমূলের বিশৃঙ্খলার জন্যই জি আর বিলি নিয়েও অশান্তি হচ্ছে। দরিদ্র মানুষ তাঁদের পাওনা যাতে তাড়াতাড়ি পান, তার চেষ্টা করছি।”
ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রোল পঞ্চায়েতের কয়েকজন জি আর প্রাপক তাঁদের বরাদ্দ গম পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধানকে দ্রুত সেই গম প্রাপকদের দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।” |