|
|
|
|
জঙ্গলমহলে পোস্টার-কাণ্ডে সিপিএমকে দুষছে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হওয়ার পরদিনই এলাকাগুলি ঘুরে দেখল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সোমবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের নেতৃত্বে দলীয় প্রতিনিধিরা ওই সব এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করেন। দীনেনবাবুর সতর্ক মন্তব্য, “শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতেই ওই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীকে আরও সতর্ক ও সজাগ হতে হবে।”
রবিবার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাওবাদী এবং পিএলজিএ-র নামাঙ্কিত পোস্টার মেলার পর পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, “স্থানীয় কয়েকজন বদমায়েশি করে এটা করেছে।” সোমবার এলাকা ঘোরার পর দীনেনবাবু অবশ্য সিপিএমের একাংশের মদত রয়েছে বলে দাবি করেন। দীনেনবাবু বলেন, “কারা ওই পোস্টার দিল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
দলীয় সূত্রে খবর, শনিবার কিষেণজি’র মৃত্যুবার্ষিকীর রাতে পোস্টার পড়ার ঘটনাটিকে মোটেই লঘু করে দেখছে না জেলা তৃণমূল। দলীয় এক সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারারও কৌশল নেওয়া হয়েছে। মাওবাদীদের সঙ্গে সিপিএমের যোগাযোগ প্রমাণ করার জন্য চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এ দিন জামবনির চিচিড়া অঞ্চলের চিঞাপাড়ায় দলীয় এক সভায় তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের পক্ষে খাতা খোলা মুশকিল। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ওরা তাই এখন মাওবাদীদের নামাবলি গায়ে চড়িয়েছে। ওদের নেতারা এখন ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে গিয়ে মাওবাদীদের সাহায্য চাইছেন। আর ঝাড়গ্রামে রাতের বেলায় হাত ধরাধরি করে পোস্টার সাঁটছেন।” ওই সভায় দীনেনবাবু, নির্মলবাবুর পাশাপাশি, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা প্রমুখ একসুরে বলেন, “জঙ্গলমহলের শান্তি ও উন্নয়নের গতিকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা হচ্ছে। চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে গ্রামে-গ্রামে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” এ দিন ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে জামবনির শাবলমারা থেকে চিঞাপাড়া পর্যন্ত ‘শান্তি মিছিল’ হয়। দলীয় সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঝাড়গ্রামে সভা করতে আসছেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। তৃণমূলের আক্রমণের জবাবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “আমরা বিরোধী-দল। ফলে ওরা কুৎসা করবেই। জনগণ সব দেখছেন।” |
|
|
|
|
|