|
|
|
|
তমলুক আদালত চত্বরে উত্তেজনা,
দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে তুলকালাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রেলের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি-সহ ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে নাকাল হল রেলপুলিশ। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা চত্বরে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সাদা পোশাকে থাকা রেলসুরক্ষাবাহিনীর কয়েকজনকে অপহরণকারী ভেবে স্থানীয় লোকেরা ঘিরে ধরে হেনস্থাও করেন বলে অভিযোগ। এই সুযোগে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, রিপন রায় নামে ওই অভিযুক্তের বাড়ি হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ডালিম্বচক এলাকায়। রেলের বিভিন্ন জিনিসপত্র, বিদ্যুতের তার চুরি, জাতীয় সড়কে গাড়ি ছিনতাই-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল আরপিএফ।
অন্য এক মামলার সূত্রে এ দিন তমলুক জেলা আদালতে এসেছিল রিপন। খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতারের জন্য আরপিএফ-এর একটি দল কিছু দূরে গাড়ি রেখে সাদা পোশাকে আদালত চত্বরে অপেক্ষা করছিল। সকাল ১১টা নাগাদ জেলা আদালতের এজলাসের সামনে বসেছিল সস্ত্রীক রিপন। এই সময় সাধারণ পোশাকে থাকা আরপিএফ বাহিনীর কয়েকজন রিপনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আদালত চত্বরে উপস্থিত লোকজন ভুল বোঝেন। রিপনকে অপহরণ করা হচ্ছে ভেবে তাঁরা বাধা দেন। রিপনের স্ত্রী-ও চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন ও বেশ কিছু আইনজীবী এসে আরপিএফ বাহিনীকে ঘিরে ধরেন এবং তাঁদের পরিচয় জানতে চান। এই গোলমালের মধ্যে অভিযুক্ত রিপন পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে আরপিএফ বাহিনীর সদস্যদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।
জেলা আদালতের আইনজীবীরা অবশ্য জানিয়েছেন, আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতারের জন্য আরপিএফ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল তা সঠিক নয়। নিয়ম মতো আদালত চত্বর থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে আরপিএফ তা করেনি। তাছাড়া আরপিএফ-এর লোকেরা তাঁদের পরিচয়পত্রও দেখাতে পারেননি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিত্যানন্দ তালধি, শেখ আলি হোসেন বলেন, “ওই ব্যক্তিকে একসঙ্গে চার-পাঁচ জন জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল। অপহরণ করা হচ্ছে ভেবেই লোকজন বাধা দেয়। নিজেদের আরপিএফ বলে পরিচয় দিলেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি কেউ।” আরপিএফ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। |
|
|
|
|
|