|
|
|
|
হাতি-চিতাবাঘে আতঙ্ক বক্সায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার ও শামুকতলা |
বুনো হাতি ও চিতাবাঘের পৃথক হামলায় ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল সংলগ্ন দুটি চা বাগান ছাড়াও কয়েকটি গ্রামে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাতে হাতির হামলার ঘটনা ঘটে কুমারগ্রাম ব্লকের কুমারগ্রাম চা বাগান এবং শামুকতলার ছোট চৌকিরবস সহ বিভিন্ন গ্রামে। চিতাবাঘের হামলা হয়েছে সোমবার সকালে কালচিনি চা বাগানে। ওই ঘটনায় এক মহিলা শ্রমিক জখম হয়েছেন। তাঁকে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম মহিলা শ্রমিকের নাম কলিতা রবিদাস। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে একদল হাতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বার হয়ে কুমারগ্রাম চা বাগানের শ্রমিক বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখানে শ্রমিক বসতির তিনটি কাঁচা বাড়ি ভেঙে চাল, ডাল, নুন বার করে খায়। হাতির দলের হামলা চলে শামুকতলার ছোট চৌকিরবস গ্রামেও। সেখানে বিঘার পর বিঘা খেতের ধান নষ্ট করে বুনোরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়িয়ে দলটিকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। ঘটনার পরে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে। বন দফতরের কর্তারা জানান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প সংলগ্ন লোকালয়ে গত তিন মাসে ২৩৫টি হাতির হামলার ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছে ১১ জন। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুনোরা অন্তত ৪৫টি ঘর ভেঙেছে। অন্তত ৮০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে। এ দিকে হাতির হানার আতঙ্কের রেশ কাটতে না-কাটতে সোমবার সকালে কালচিনি চা বাগান এলাকায় চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটে। বাগানের ম্যানেজার গৌতম চট্টোপাধ্যায় জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলিতা রবিদাস নামে এক মহিলা শ্রমিক বাগানের পাঁচ নম্বর সেকশনে পাতা তুলছিলেন। ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘটি আচমকা তাঁর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। মাথা ও ডান চোখের উপরে থাবা বসায়। কামড়ে দেয়। আশপাশের শ্রমিকরা হইচই করলে সেটি পালায়। |
|
|
|
|
|