প্রাণী পালনের নিরিখে রাজ্যে প্রথম হল হুগলি জেলা। সেরা প্রাণিবন্ধুর পুরষ্কারও পেয়েছেন এই জেলারই বলাগড়ের এক প্রাণিবন্ধু। গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছিল ‘প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ’। এই উপলক্ষে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো হুগলিতেও প্রতিটি ব্লকে প্রাণী স্বাস্থ্যশিবির, টিকাকরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হুগলি জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের উপ-অধিকর্তা সোমনাথ মাইতি বলেন, “সার্বিক বিচারে হুগলি জেলা রাজ্যের মধ্যে প্রথম হওয়া ছাড়াও প্রাণী টিকাকরণের ক্ষেত্রেও প্রথম হয়েছে। কৃত্রিম প্রজনন এবং দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। প্রাণী-বন্ধু হিসেবে রাজ্যে সেরা হয়েছেন বলাগড়ের এক প্রাণিবন্ধু।” হুগলি জেলার ১৮টি ব্লকের মধ্যে প্রাণী পালনের বিচারে গোঘাট ২ ব্লক প্রথম হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার গোঘাট ২ ব্লকের প্রাণী সপ্তাহ পালনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয় ওই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির প্রেক্ষাগৃহে। উপস্থিত ছিলেন বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত, ব্লক প্রাণিসম্পদ আধিকারিক শুভেন্দু হালদার-সহ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকেরা। ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের উন্নত মানের গাভি ও ছাগল পালকদের পুরষ্কৃত করা হয় এই অনুষ্ঠানে। অন্য দিকে, সোমবার পুড়শুড়ার শ্যামপুর পঞ্চায়েতেও পালিত একই সঙ্গে পালিত হয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ। অনুষ্ঠানে গরু-ছাগলের টিকাকরণ করানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্লক এবং জেলা আধিকারিকেরা।
|
যাঁদের বয়স চল্লিশের বেশি। ধূমপান বা দূষণের জন্য তাঁরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, উপযুক্ত চিকিৎসা ও পরামর্শ মেনে তাঁরা কী ভাবে ভাল থাকবেন সেই উদ্দেশ্য একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়ে গেল রাজনগরে। রবিবার রাজনগর সিসালফার্ম উচ্চ বিদ্যালয়ে অয়োজিত ওই শিবিরের উদ্যোক্তা কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারের শিবিরের ঠিক ছয় সপ্তাহ আগে এখানেই এরকমই একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রাজনগরের চন্দ্রপুর, গণেশপুর, পেরুল, বেড়েলা, গোবরা, রানিগ্রাম, আলিগড় এবং খুড়িগড় গ্রামের বাসিন্দাদের ফুসফুস, রক্ত পরীক্ষা এবং এক্সরে-র মাধ্যমে এই রকম ১৫০ জন রোগীকে চিহ্নিত করে তাঁদেরকে প্রথম শিবিরে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। কী ভাবে জীবনযাপন করলে শ্বাসকষ্ট থেকে ভাল থাকবেন সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেই সব শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীরা কেমন আছেন সেটা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতেই দ্বিতীয় শিবির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থসারথি ভট্টাচার্য এবং রূপক ঘোষ।
|
পঞ্চায়েতে সাফাই কর্মী নেই। আবর্জনা স্তূপ এলাকা জুড়ে। সমস্যা কাটাতে পঞ্চায়েত প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে সাফাই অভিযানে নামল পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয় ওই সাফাই অভিযান। চাকুলিয়া থানার ওসি নিম সেরিং ভুটিয়ার নেতৃত্বে চলে এলাকা পরিষ্কারের কাজ। এদিন আধিকারিকেরাই কোদাল চালিয়ে পরিষ্কার করেন আবর্জনা। পরে তা একটি ট্রলিতে করে অন্যত্র ফেলে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন। ওসি নিম সেরিং ভুটিয়া বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের নোংরা আবর্জনায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। সে কারণে এলাকাতে ওই সাফাই অভিযান করা হয়েছে। মানুষকে বলা হয়েছে যথেচ্ছ নোংরা ফেলবেন না।” বাসিন্দারা জানান, গোয়ালপোখর-২ ব্লকের সামনে থেকে চাকুলিয়া বাজার হয়ে পঞ্চায়েত দফতর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে চলে সাফাই অভিযানের কাজ। তবে এদিন ওই সাফাই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন চাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সেতাবউদ্দিনও। চাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের আখতারা খাতুন বলেন, “এই সাফাই অভিযানের খুবই প্রয়োজন ছিল।”
|
মণিপুরে বিপন্ন প্রজাতির সাংগাই হরিণ বাঁচাতে এবং এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগেই বসেছে মেলা। অথচ অভিযোগ, ইম্ফলে সেই ‘সরকারি’ মেলাতেই স্টলে স্টলে অবাধে বিকোচ্ছে বিপন্ন পশুরই মাংস। লোকমুখে খবর পেয়ে হাজির হন পশুপ্রেমীরা এবং দেখেন অভিযোগ সর্বাংশে সত্য। খাতায়কলমে এই মেলার নাম ‘সাংগাই উৎসব’। কিন্তু সেখানেই, যে সব প্রাণী হত্যা বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ, তেমন প্রাণীর মাংস অবাধে বিকোচ্ছে । পিপ্ল ফর অ্যানিম্যাল-এর আধিকারিক লৌরেমবাম বিশ্বজিৎ বলেন, “জানি না মেলার উদ্যোক্তা সরকারি আমলা-অফিসাররা এই ধরনের মাংস বিক্রির অনুমতি কী করে দিলেন?” |
৯২ লক্ষ বছরের পুরনো দুই শৃঙ্গ গন্ডারের জীবাশ্ম পাওয়া গেল। বিজ্ঞানীদের মতে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় মৃত্যু হয়েছিল গন্ডারটির। |