|
|
|
|
ফেসবুকে মন্তব্যে ফের হাজতবাস |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে দুই তরুণীর গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্ক মেটেনি এখনও। তার মধ্যেই একই ‘অপরাধে’ এক রাজনীতিকের অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়ার দুই কর্মীর গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তরুণীদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা ছিলেন বিরোধী শিবসেনার সদস্য। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মহারাষ্ট্রে শাসক জোটের শরিক এনসিপি-র নেতা।
ফেসবুকে মন্তব্য বা ই-মেলে ব্যঙ্গচিত্র ‘ফরোয়ার্ড’ করায় সাম্প্রতিক কালে হাজতবাস করতে হয়েছে অনেককেই। পশ্চিমবঙ্গে অম্বিকেশ মহাপাত্র বা মহারাষ্ট্রে ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী অসীম ত্রিবেদীর ঘটনা এখনও পুরনো হয়নি। ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে মতপ্রকাশের অভূতপূর্ব স্বাধীনতা পেয়েছেন মানুষ। কিন্তু, শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে রাজনীতিকরা সেই স্বাধীনতায় অস্বস্তিতে কি না সেই প্রশ্ন উঠে এসেছে বার বার।
বালাসাহেব ঠাকরের শেষ যাত্রায় মুম্বইয়ে অঘোষিত বন্ধের সমালোচনা করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই তরুণী শাহিন ধাদা ও রেণু শ্রীনিবাস। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন কয়েক জন শিবসেনা নেতা। এয়ার ইন্ডিয়ার দুই কর্মী মায়াঙ্ক মোহন শর্মা ও কে ভি জে রাও-ও রাজনীতিকদের নিয়েই অশ্লীল রসিকতা ফেসবুকে ‘শেয়ার’ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও জাতীয় পতাকাকেও তাঁরা অপমান করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুম্বই পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখায়। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারী এনসিপি নেতা কিরণ পাওয়াসকর। আগে শিবসেনার সদস্য ছিলেন তিনি।
মার্চ মাসে মায়াঙ্ক ও রাওয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলেও মে মাসের আগে নড়েচড়ে বসেনি পুলিশ। ১০ মে স্ত্রীর জন্মদিন পালন করে ফিরেছিলেন মায়াঙ্ক। মাঝ রাতে হঠাৎই মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সে দিন রাতেই কে ভি জে রাওকেও গ্রেফতার করা হয়। ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তাঁরা। এয়ার ইন্ডিয়া ওই দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করে। মায়াঙ্ক ও রাওয়ের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ‘আপত্তিজনক’ বিষয়বস্তু পোস্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মায়াঙ্ক জানিয়েছেন, রাজনীতিকদের নিয়ে হরেক রসিকতা এখন ইন্টারনেটে চালু। সেই ধরনের কিছু রসিকতাই ‘শেয়ার’ করেছিলেন তাঁরা।
রাও জানান, তিনি ও মায়াঙ্ক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। বিরোধী ইউনিয়নের নেতা কিরণ পাওয়াসকর। রাওয়ের দাবি, ইউনিয়নগত বিরোধের জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন পাওয়াসকর। তবে কি তথ্য প্রযুক্তি আইনকে বিরোধী মতের কণ্ঠরোধের কাজে ব্যবহার করাই চল হয়ে দাঁড়াল? এটাই এখন জানতে চায় সারা দেশ। |
|
|
|
|
|