দুর্নীতির অভিযোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের নামে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধল সোমবার দুপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএড ও স্নাতোকত্তর স্তরে ভর্তি নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের নামে পোস্টার দেওয়া হয়। তার জেরে টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্রসংসদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা হয়। দু’দলে ভাগ হয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল-সমর্থক কর্মীরাও। এক দল পোস্টার লাগানোকে সমর্থন করেন, অন্য দল তা ছিঁড়ে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দিন দুপুরে গোলাপবাগ ও রাজবাটির কয়েকটি জায়গায় পোস্টার লাগায় টিএমসিপি’র একটি গোষ্ঠী। টিএমসিপি-র জেলা কমিটি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সন্তু ক্ষেত্রপালের নামে দেওয়া এই পোস্টারে দাবি করা হয়, বিএড ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সময়ে মেধা তালিকা নিয়ে স্বজনপোষন হয়েছে। সন্তুবাবুর বক্তব্য, “দুর্নীতি হয়েছে, নিশ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হিসেবে উপাচার্য তার দায় অস্বীকার করতে পারেন না।” |
এর পর ওই পোস্টার ছিঁড়ে দেন ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। সন্তু ঘোষ বলেন, “কী করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম ব্যবহার করে পোস্টার দেওয়া হল, আমি জানিনা। আমি ছাত্র সংসদের প্রধান। আমার সঙ্গে আলোচনা করেই সব কিছু করতে হবে। তাই পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছি।” পোস্টার ছিঁড়েছেন তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের নেতা সীতারাম মুখোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরাও। ওই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শ্যামাদাস বৈরাগ্য বলেন, বৃহস্পতিবার সমাবর্তন উৎসবটি বানচাল করতেই সিপিএমের মদতে আমাদেরই কিছু লোক এই কুৎসিৎ চক্রান্ত করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএমের কর্মচারি সংগঠন। জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক অর্ধেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বহিরাগত দুষ্কৃতীরা পোস্টার দিয়েছে। ওরা আমাদের সংগঠনের কেউ নয়।”
অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমারবাবুর বক্তব্য, “অভিযোগ হাস্যকর। সকলেই যে আমার কাজে খুশি হবেন, এমন তো নয়। আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি কর্মচারি সংগঠনই এসেছিল। সকলেরই গণতান্ত্রিক ভাবে অভিযোগ জানানোর স্বাধীনতা রয়েছে।” |