রায়গঞ্জে দুই গোষ্ঠীর গুলি বোমা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘স্বঘোষিত’ নেতা জখম ভোলা পাল সহ ৪ যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন ভোলাবাবুকে গ্রেফতার করে তাঁকে আপাতত হাসপাতালের পুলিশ লক আপে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। বাকিদের শহরে নানা এলাকা থেকে ধরা হয়। বাকি তিন অভিযুক্তের নাম, কল্যাণ সাহা, পার্থ মিত্র ও আইনুল হক। ধৃতরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। পুলিশ জানায়, দু-তরফেই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। বন্দর এলাকার বাসিন্দা কল্যাণবাবু ভোলাবাবুর অনুগামী বলে দলীয় মহলে পরিচিত। সুদর্শনপুর ও শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা পার্থবাবু ও আইনুল তাঁদের বিরোধী গোষ্ঠী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। ধৃত তিন জনকে এদিন রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির করায় পুলিশ। সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, আইনুল ও পার্থবাবুকে আদালত ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কল্যাণবাবু ও ভোলাবাবুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় পুলিশের আবেদনে কল্যাণবাবুকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা ব্যবহার, হামলা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে আইনুলকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়। তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল চলছিল। আইনুল গোষ্ঠীর সঙ্গে ভোলাবাবুদের গোষ্ঠীর ঝামেলা চলছিল। সেই কারণে ওই দিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সম্প্রতি, জেলা তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে ভোলাবাবুর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। তাঁর ক্লাবে কালী পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। আইনুলও তৃণমূলের বহু কর্মসূচিতে হাজির হলেও ভোলার সঙ্গে তাঁদের একমঞ্চে দেখা যায়নি বলে দলীয় সূত্রের খবর। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “ধৃতরা দলের সমর্থক হতেই পারেন। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দল এ সব প্রশ্রয় দেয় না।” |