তৃণমূলে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হিসাবে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী শপথ নিতেই তাঁর দুই অনুগামীকে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করল কংগ্রেস। বুধবার জেলা কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম ওই ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “দলবিরোধী কাজের জন্য ইংরেজবাজার শহর টাউন কংগ্রেস সভাপতি দেবপ্রিয় সাহা, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে নতুন টাউন কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি ওই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছেন।” তিনি জানান, মন্ত্রী হওয়ার জন্য কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী কংগ্রেস বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওঁর নৈতিকতা থাকলে কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান পদ থেকেও পদত্যাগ করা উচিত। কংগ্রেস জেলা সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী জানান, দলের যে সমস্ত কর্মী নেতারা কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর সঙ্গে সর্ম্পক রাখবেন, তাঁদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। |
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হিসাবে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী শপথ নেওয়ার
পরে আবির-খেলা। মালদহের কালীতলা এলাকায় মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি। |
ইংরেজবাজার বিধানসভার মানুষ ওঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু ইংরেজবাজারে মানুষের সঙ্গে উনি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। ছয় মাস পর নির্বাচন। মানুষ এর জবাব দেবে। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “আবু হাসেম খান চৌধুরী মালদহ জেলা কংগ্রেসকে গনি খান প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করেছে। পরিবারের সদস্যরা বাইরে কাউকে মাথা তুলে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না। দিনের পর দিন অবহেলা ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। কে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তা নির্বাচনে মানুষ জবাব দেবেন।” কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার টাউন কংগ্রেস সভাপতি দেবপ্রিয় সাহা বলেন, “আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করার অধিকার জেলা কংগ্রেস সভাপতির নেই। আমি প্রদেশ কংগ্রেস দ্বারা নির্বাচিত।” আর ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “বহিষ্কার নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। বহিষ্কার করলে প্রদেশ নেতৃত্ব করবেন। আমি কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর সঙ্গে আছি।” এদিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতেই মালদহে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর অনুগামীরা আনন্দে ফেটে পড়েন। ঢাক পিটিয়ে ও গান বাজিয়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন অনুগামীরা। |