পার্কিং ফি বাড়লেও ন্যূনতম পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বর্হিবাণিজ্যের ট্রাক চালক ও কর্মীরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের বালুপাড়ায় জেলাপরিষদ পরিচালিত ট্রাক টার্মিনাসের দশায় দুর্ভোগে পড়ার অভিযোগ তুলেছেন ট্রাক চালক, কর্মীরা। তাঁরা জানান, সীমানা পাঁচিল ভেঙেছে। পানীয় জল, শৌচাগারের বেহাল অবস্থা। রাতে থাকার ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নেই। চালকেরা বলেন, “চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য পৌঁছনোর লাইন পেতে দুই-তিন দিন সময় লেগে যায়। রাতে ভাঙা পাঁচিল দিয়ে দুষ্কৃতীরা টার্মিনাসে ঢুকে গাড়ি থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।”
দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক দিলীপ গুহ বলেন, “প্রতি মাসে জেলাপরিষদ পার্কিং ফি বাবদ ট্রাক গুলি থাকে লক্ষাধিক টাকা আয় করছে। অথচ টার্মিনাস থেকে চালকেরা পরিষেবা পাচ্ছেন না। জেলাপরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজ হয়নি। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামব।” সমস্যা প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সিপিএমের সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “ট্রাক টার্মিনাসের সমস্যা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাঙা পাঁচিল মেরামত হবে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
হিলি আর্ন্তজাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে যুক্ত অনন্ত ১২০টি ট্রাক ট্রাক প্রতিদিন হিলিতে ঢোকেন। চালকদের গাড়ি পার্কিং এবং থাকা খাওয়ার সুবিধার জন্য প্রায় ১২ বছর আগে হিলির বালুপাড়ায় ৩৩ বিঘা জমির উপর ট্রাক টার্মিনাসটি তৈরি করেছিল বাম পরিচালিত জেলাপরিষদ। কিন্তু রাতে ট্রাক চালকদের থাকার ব্যবস্থা সেভাবে গড়ে তোলা হয়নি বলে অভিযোগ। টার্মিনাস সূত্রের খবর, টার্মিনাসের ভিতরে ১৬টি দোকান আজও চালু হয়নি। রাস্তার বদলে টার্মিনাসেপার্কিংয়ের বন্দোবস্ত করে ট্রাক টার্মিনাসটি চালু করে ট্রাক পিছু ৩০ টাকা পার্কিং ফি দিয়ে টার্মিনালটি চালু হয়। প্রথমে কয়েক বছর পরিষেবা ঠিক থাকলেও ধীরে ধীরে তা খারাপ হতে থাকে। কিন্তু বাড়তে থাকে পার্কি ফি। বর্তমানে রোজ ৬ চাকার ট্রাকের জন্য পার্কিং ফি ৮০ টাকা, ১০ চাকার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা এবং ১৪ চাকার ট্রাক পিছু ১২৫ টাকা পার্কিং ফি সংগ্রহ হচ্ছে। হিলি এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি গণেশ সাহা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক টার্মিনাসটির বেহাল অবস্থায় জেলা সহ বহিরাগত ট্রাক চালক, কর্মীরা সমস্যায়। অ্যসোসিয়েশনের তরফে জেলাপরিষদ কর্তৃপক্ষকে সমস্যা সমাধানের আবেদন করা হয়েছে।” জেলা পরিষদে কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” |